জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে উপাচার্যের বিরুদ্ধে যে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাকে ‘কল্পনাপ্রসূত ও অসত্য’ বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়। অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের ছাড়কৃত অর্থ খরচের হিসাবও এ বিবৃতিতে তুলে ধরা হয়।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়: আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বক্তৃতা-বিবৃতি, পত্র-পত্রিকা এবং অন্যান্য গণমাধ্যমে এ অভিযোগের সংবাদ প্রচারিত-প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দৃঢ়ভাবে জানাচ্ছে যে, এই অভিযোগ কল্পনাপ্রসূত ও অসত্য।
‘প্রকৃত তথ্য হলো ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে এই প্রকল্পের জন্য ছাড়কৃত ৫ কোটি টাকার মধ্যে ২ কোটি ৪৩ হাজার ৫৬ টাকা খরচ হয়েছে। প্রকল্পের অফিস ইকুইপমেন্ট, কনসালটিং ফার্মের ফি এবং প্রকল্পের গাড়ি ক্রয় বাবদ উল্লিখিত অর্থ খরচ হয়েছে। ছাড়কৃত ৫ কোটি টাকার অবশিষ্ট টাকা সরকারি কোষাগারে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দেয়া হয়েছে।’
প্রকল্পের ছাড়কৃত অর্থ খরচের যৌক্তিকতা দেখিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়: একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্তৃক উপাচার্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ অসত্য, মনগড়া ও ভিত্তিহীন।