চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

উপনির্বাচনের প্রচারণায় জমজমাট হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনের প্রচারণা জমে উঠেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে অবিরাম প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মেয়র প্রার্থীরা।

মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীসহ আরও দলের একাধিক বিদ্রোহী থাকায় এ নির্বাচন আরও বেশি জমজমাট হয়ে উঠছে। এছাড়াও মাঠে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি’র এক নেতা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রচারণার পাশাপাশি প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে নিয়মিতই অভিযোগ করে চলেছেন।

২০১৫ সালে ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে কারাগারে থেকে মেয়র নির্বাচিত হন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জিকে গউছ। তিনি মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। এরপর নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনের ঘোষণা দেন। আগামী ২৪ জুন এ পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

৪৭ হাজার ৮২০ জন ভোটারের এ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ২০টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে।

নির্বাচনে এবার মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বিগত পৌর নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বি পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান।

তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমানকে মেনে না নিয়ে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে জেলা যুবলীগ। অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি কামরুল হাসান ও জেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মর্তুজ আলী।

এছাড়া দলীয়ভাবে বিএনপি এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম ইসলাম তরফদার তনু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীরা পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ করবেন বলে ভোটাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তবে ভোটাররা বলছেন, যোগ্য প্রার্থী দেখেই তারা পৌর মেয়র নির্বাচিত করবেন।

এই উপনির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খোরশেদ আলম।

অন্যদিকে নির্বাচনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা।