একাকীত্ব থেকে মুক্তি পেতে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর মানুষ অকাল মৃত্যুকে বেছে নিচ্ছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। সামাজিকভাবে সংযুক্ত থাকা মানুষদের চেয়ে একাকী থাকাদের ৫০ শতাংশ অকাল মৃত্যুর পথ বেছে নেয় বলে নতুন এই গবেষণায় উঠে এসেছে। অনেক দেশ জানিয়েছে তারা এখন ‘একাকীত্বের মহামারী’র মুখোমুখী হচ্ছে বলে গবেষক হল্ট উল্লেখ করেছেন।
যদিও বয়স্ক, একাকী এবং বিচ্ছিন্ন লোকদের অকাল মৃত্যুর প্রবণতা বিষয়ে অনেক আগে থেকেই সমাজ বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে আসছিলেন বলে কোয়ার্টজ মিডিয়া জানিয়েছে।
আগের একটি গবেষণায় উঠে আসে আমেরিকার এক তৃতীয়াংশ মানুষ একাকীত্ব বোধ করে। যেখানে যুক্তরাজ্যের ১৮ শতাংশ মানুষ সবসময় বা মাঝে মাঝে একাকীত্ব বোধ করে। কিন্তু নতুন গবেষণায় স্বাস্থ্যের বিচ্ছিন্নতা বিশেষ করে অকালমৃত্যু সংশ্লিষ্ট দুটি মেটা-গবেষণার ফলাফল মিলিয়ে দেখা হয়েছে।
গত সপ্তাহে আমেরিকার ব্রিগহাম ইয়াং ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জুলিয়ানি হল্ট-লান্সটাড গবেষণা দুটি উপস্থাপন করেন। প্রথম গবেষণায় তিন লক্ষ লোকের ওপর পরিচালিত ১৪৮ টি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ অকাল মৃত্যু রোধে বৃহৎ সামাজিক বন্ধন জড়িত।
দ্বিতীয় গবেষণায় আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া এবং অস্ট্রেরিয়ার প্রায় ৩৪ লক্ষ লোকের ওপর পরিচালিত ৭০ টি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বিচ্ছিন্নতা, একাকীত্ব এবং একা বসবাস অকাল মৃত্যু এবং স্থুলতা বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ায়।
অকাল মৃত্যুর এই প্রবণতা বৃদ্ধি মোকাবেলায় হল্ট কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কর্মক্ষেত্র এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে অবসরের বিষয়ে সবার প্রস্তুতি থাকা উচিত। কারণ সামাজিক বন্ধন এখন কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত।
আবার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড যেমন বাগান করা সহ আরও কিছু কাজ করে তারা যেন একাকীত্ব দূর করতে পারে সে বিষয়ে পরিকল্পনাকারীরাও ভূমিকা রাখতে পারেন বলে হল্ট যোগ করেন।