একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে সুষ্ঠুভাবেই। বাংলাদেশে নির্বাচন মানেই ছিল সহিংসতা সন্ত্রাস ভোট জালিয়াতির সংবাদে ভরা। দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সারাদেশে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। ভোটাররা নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটপ্রদান করেছেন। যদিও সারাদেশে নির্বাচনী সহিংসতায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৪ জন। বন্ধ হয়েছে বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রও। এবার ৪০ হাজার ১৮৩টি ভোটকেন্দ্রে ২ লাখ ৭ হাজার ৩১২টি ভোটকক্ষে মোট ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার কথা। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৫ জন এবং মহিলা ভোটার রয়েছেন ৫ কোটি ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৩১২ জন।
এই নির্বাচনে দেশি ৮১টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ২৫ হাজার ৯০০ জন এবং ওআইসি ও কমনওয়েলথ থেকে আমন্ত্রিত ও অন্যান্য বিদেশি পর্যবেক্ষক ৩৮ জন, কূটনৈতিক, বিদেশি মিশনের কর্মকর্তা ৬৪ জন এবং বাংলাদেশ দূতাবাস, হাইকমিশন বা বিদেশী সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশি ৬১ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন। বিদেশি পর্বেক্ষকরা ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এরই মধ্যে সর্বশেষ পাওয়া বেসরকারি ফলাফলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশের ইতিহাসে তুলনামূলক শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই কিছু মানুষের মৃত্যুর সংবাদও যেন ভবিষ্যতে না থাকে সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সব কিছুর পরও এবারের নির্বাচন ইতিহাসে মাইলফলক হিসেবে থাকবে।