আজ ২৪ জুলাই, মহানায়ক উত্তম কুমারের মৃত্যুদিবস। ১৯৮০ সালের এই দিনে সিনেমাপ্রেমীরা হারায় ওই কিংবদন্তী অভিনেতাকে। তার মৃত্যুদিবস উপলক্ষে উত্তম কুমারের ছবির গান নিয়ে চ্যানেল আই’র বিশেষ আয়োজন ‘উত্তম গান’এ যোগ দিতে এসেছিলেন তার সহধর্মীনি ও সহকর্মী সুপ্রিয়া দেবী। বললেন, উত্তম আমার প্রাণ।
উত্তম কুমারের বাংলাদেশী সিনেমায় অভিনয় করারও ইচ্ছে ছিলো বলে জানালেন সুপ্রিয়া দেবী। ঢাকায় এসে আবেগ আপ্লুত সুপ্রিয়া বলেন, প্রাণের টানে বার বার আসতে চান বাংলাদেশে। ‘উত্তম গান’ প্রচারিত হবে আজ শুক্রবার ২৪ জুলাই বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে।
প্রথমবার যখন দেখা, উত্তম কুমার তখন ১৭ তে। আর সুপ্রিয়া দেবীর ১১। তখনও ভাইয়ের বন্ধুটির উপর থেকে চোখ সরেনি সুপ্রিয়ার। যদিও উত্তম হঠাৎ করেই বান্ধবী গৌরী দেবীকে বিয়ে করে ফেলায় দূরত্ব বেড়েছিলো। বিয়ে হয়েছিলো সুপ্রিয়া দেবীরও। বিশ্বজিত চ্যাটার্জির সঙ্গে। কিন্তু গৌরীর মতো বিশ্বজিতেরও অপছন্দ রূপালী পর্দা। অন্যদিকে উত্তম-সুপ্রিয়ার রক্তে মিশে গেছে ‘লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন’। তারা কী সেই ফিল্মি দুনিয়া ছাড়তে পারেন? পারেননি, বরং জুটি বেধেছিলেন সিনেমায়।
‘বসু পরিবার’ দিয়ে শুরু। আর সবচেয়ে ব্যবসাসফল ‘শুন বরনারী’। ওই ছবির পরই শুরু ঘনিষ্টতার। দুজনের সংসারেই তখন টানাপোড়েন। ব্যক্তি জীবনে সেই শূন্যতা পূরণে আরো কাছে আসেন দু’জন। প্রেম হয়। নির্ভরশীলতা বাড়ে। কিছুদিন পরই নিজের বাড়ি ছেড়ে সুপ্রিয়ার ফ্ল্যাটে উঠে পড়েন উত্তম কুমার।
রূপালী পর্দার মতো জীবনে চলার পথেও জুটি বেঁধে ফেলেন দুজন। একসঙ্গে কাটিয়ে দেন ১৭ বছর। এ নিয়ে নিন্দা, অপবাদ কম সইতে হয়নি দুজনকে। কিন্তু তারা যে সত্যিকারের জুটি। স্মৃতিচারণে সে কথাই বললেন সুপ্রিয়া দেবী।
বললেন, ওকে নিয়ে যে তোমরা ভাবো, তোমরা চিন্তা করো, সেটা আমার ভীষণ ভালো লাগছে। একটা কথাই বলবো, ওকে ভোলা খুব মুশকিল।
উত্তম কুমারের বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় করতে আসার কথা ছিলো উল্লেখ করে সুপ্রিয়া দেবী বলেন, এদেশটার সঙ্গে আমাদের মায়ার টান। বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার খুব ভালো লাগছে। এই যে আজ এমন একটা অনুষ্ঠান তোমরা করছো। সেটাই ক’টা লোকে করে?
উত্তম কুমারের ছবির গানগুলো নিয়ে ‘উত্তম গান’ নামে চ্যানেল আই’র আয়োজনে যোগ দিতে এসে সুপ্রিয়া দেবী বললেন, রান্না তার শখ। আর সেই রান্না দিয়েই মন কেড়েছিলেন উত্তমের। বললেন, উত্তম হচ্ছে আমার প্রাণ। তোমরা কতটুকু করো জানিনা।