কাটার মুস্তাফিজ যেন সর্বোচ্চ সংখ্যক উইকেট তুলে পারপল ক্যাপ জিতে নিতে
পারেন এমন শুভ কামনা জানিয়ে ক্রিকেট বিশ্লেষক ফরহাদ টিটো একটি স্ট্যাটাস
পোস্ট করেছিলেন। তবে মুস্তাফিজ পুনে সুপারজায়ান্টসের বিপক্ষে উইকেট নিতে না
পারলেও জয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন বলে মনে করেন ফরহাদ টিটো। তার মতে
উইকেই পাওয়াই শেষ কথা নয়।
টিটো ফেসুবক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, শেষ চার ওভারে পুনে সুপারজায়ান্টসের টার্গেট ছিলো ৪২ রান। ব্যাটিংয়ে বিশ্বসেরা ফিনিশার এম এস ধোনি আর পাওয়ার হিটার থিসারা পেরেরা। ১৭ আর ১৯তম ওভারে বল করলেন মুস্তাফিজ। রান দিলেন মাত্র ১+১+১+১+০+১=৫ আর ২+২+০+১+২+১ =৮ সবমিলিয়ে ১৩। এই দুই ওভারে অতি প্রয়োজনীয় এবং প্রত্যাশিত ওভার বাউন্ডারি বা বাউন্ডারির ধারে-কাছেও যেতে পারলেন না পেরেরা-ধোনিরা।
খেলার ধারা বিশ্লেষণ করে এ ক্রীড়া বিশ্লেষক আরো লিখেছেন: ‘মাঝখানে ১৮তম ওভারে ভূবনেশ্বরকে ‘ধোলাই’ করলেন ওরা, তুললেন ১৫ রান। তবু ভাইটাল দুই ওভারে মুস্তাফিজের দেয়া মাত্র ১৩ রানই সর্বনাশের কিনারায় নিয়ে গেল জয়ের খুব কাছাকাছি চলে যাওয়া সুপারজায়ান্টদের।
শেষ ওভারে মুস্তাফিজের কল্যাণেই ওদের টার্গেট গিয়ে দাঁড়ালো ১৪, যা আশিস নেহরার মতো অভিজ্ঞ বোলারের কাছ থেকে বের করে নেয়া ছিল আসলেই দুরূহ ব্যাপার। যা তারা পারেওনি শেষমেশ। মুস্তাফিজ কোনো উইকেট পাননি এই খেলায় অথচ দলের জয়ে ভূমিকা রাখলেন অসামান্য।
না, আপাতত পারপল ক্যাপ পাওয়া হলো না তার (এক উইকেট পেয়ে তার টিমমেইট ভূবনেশ্বরের মাথায় এখন এই টুপি) কিন্তু যতটুকু করে দিয়েছেন নিজের শেষ দুই ওভারে তাতে হায়দারাবাদিরা যদি সোনার টুপিও পরিয়ে দেন তাকে মানানসই হয়ে যাবে।
এই ম্যাচ নিয়ে ক্রিকইনফো’র লেখা প্রতিবেদনের নিচে ভারতীয় এক জ্ঞানী ক্রিকেটফ্যানের মন্তব্য ছিলো হুবহু এরকম: ”Nothing to take away from Nehra ji but the main architect of this win is Mustafizur “
না, খেলাটা আমি দেখিনি কিন্তু স্কোরকার্ড আর শেষ চার ওভারের বোলিং বিশ্লেষণ করেই বলে দেয়া যায় এই ম্যাচের টার্নিংপয়েন্ট। আমিও তাই করেছি। আমার সংঙ্গে একমত হোন বা না হোন – আমার কিছু যায়-আসে না । শুভ সকাল বাংলাদেশ!’