চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ঈদ বাজার নিজেদের করার স্বপ্নে দেশী ফ্যাশন শিল্প

ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরই প্রসার হচ্ছে বুটিক শিল্পের। উৎসবগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে সারাবছর যে পরিমাণ পণ্য উৎপাদিত হয় তার ৫০ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেকই হয় রোজার ঈদকে সামনে রেখে।

তবে উৎপাদন খরচ বাড়লেও দাম ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার আশ্বাস দিয়ে ফ্যাশন হাউস মালিকরা বলছেন, যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে তবে গতবারের চেয়ে এবার বিক্রি বাড়বে ১৫-২০ শতাংশ।

বিবিয়ানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিপি খন্দকার বলেন, পুরো এগারো মাস যে পরিমাণ বিক্রি হয় এই একমাসে হয় তার দ্বিগুণ। তারপরও গত তিন বছরে এই ব্যবসা অনেকটাই কমের পথে। কেননা বিদেশী কাপড় এখন বাংলাদেশে বেশি আসছে।

‘প্রতিবছরই বাড়ছে উৎপাদন খরচ। তবে এবার আমরা পোশাকের দাম রাখার চেষ্টা করেছি নাগালের মধ্যেই,’ বলে ক্রেতাদের অাশ্বস্ত করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, বিবিয়ানায় মানুষ আসে সালোয়ার কামিজের জন্য। এবারও শোরুমে দৃষ্টিনন্দন পোশাক পাবেন ক্রেতারা।

তবে তার মতে, দেশের মানুষ ভারতীয় পোশাক খানিকটা কম দামে পাওয়ায় দেশীয় পোশাক শিল্প তৈরিকারীরা পিছিয়ে যাচ্ছেন। কারণ সবার মনে তো আর দেশপ্রেম নেই।

রঙের ডিজাইনার বিপ্লব সাহা বলেন, প্রতিবছর ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু যেভাবে বাড়ার কথা সেভাবে বাড়ছে না। বিদেশী পোশাকের চাপেই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে দেশীয় পোশাকশিল্প।

তিনি বলেন, বুটিক ব্যবসা এখন উৎসবকেন্দ্রিক। অস্থিরতার কারণে মানুষের জীবন যাপনই কষ্টকর, আর পোশাক কেনাতো মানুষের শখ। এখন পোশাক বেশি বিক্রি হয় রোজার ঈদ ও পহেলা বৈশাখে।

‘আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করি যেন সবার চোখ বিদেশী ওই ঝলমলে পোশাকের মোহ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে,’ এমন কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের সুদৃষ্টি চেয়েছেন তিনি।

তবে বরাবরই বিদেশী পোশাকের দৌরাত্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে, এমন আক্ষেপ নিয়ে ফ্যাশন এন্টারপ্রেনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এফইএবির প্রেসিডেন্ট আজহারুল হক আজাদ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেছেন।

তিনি বলেন, কাঁচামালের দাম বেড়েছে বলে খরচ বেড়েছে। তবে সে আন্দাজে আমাদের দেশীয় পোশাকের দাম বাড়েনি। রাষ্ট্রের এখন সময় দেশের পোশাক শিল্পখাতকে সুরক্ষা করা।

তিনি বলেন, বিদেশী পোশাক আমদানির ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ থেকে ৪০ শুল্ক কমানোর কথা বলা হয়েছে, সেটা প্রত্যাহার করা উচিত। দেশে অবৈধ পথে বিদেশী পোশাক আসার পরিমাণও অনেক বেশি, সে ব্যাপারেও সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদয় দৃষ্টি কামনা করেন শাদাকালোর প্রতিষ্ঠাতা।

দেশীয় পোশাকে আগ্রহী ক্রেতার কথা বিবেচনায় রেখে ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়িক প্রসার ঘটাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো বাড়িয়েছে তাদের সেলিং পয়েন্ট। নতুন শাখা খুলছে দেশব্যাপী।