পবিত্র ঈদুল আজহা এবং বন্যাকে ঘিরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর এবং সংস্থার মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিপত্র (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সে সময় মন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমানোর জন্য আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। জনগণকেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা টেস্ট কমিয়ে দিয়েছি এমনটি নয়। আসলে লোকজন টেস্ট কম করাতে আসছেন। এছাড়া অনেক এলাকায় বন্যার কারণে লোক ল্যাবে যেতে পারছেন না। সে জন্যও টেস্ট করানো সম্ভব হচ্ছে না। টেস্ট কিটের কোনো সংকট নেই।
“অনেক ক্ষেত্রে লক্ষণ প্রকাশের সাথে সাথে বাসা থেকে অনেকেই টেলিমেডিসিন সেবা নিয়ে সুস্থ হচ্ছেন বলেও পরীক্ষার হার কমে গেছে।”
সার্বিক আক্রান্তের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে দাবি করে জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমানে দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমেছে।
তিনি বলেন, আমেরিকায় করোনা আক্রান্ত প্রায় আড়াই হাজারে একজন মারা গেছে, ইউরোপের দেশগুলোতে প্রায় দেড় হাজারে একজন মারা গেছে। সে তুলনায় বাংলাদেশ ৫৫ হাজারে একজন মারা গেছে। আমি মনে কার এটি আমাদের দেশের জন্য একটি স্বস্তির খবর।