যে কোনো মূল্যে যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘বস টু’ ও ‘নবাব’ মুক্তি দিতে হবে। তা না হলে এবার ঈদে বাংলাদেশের সব সিনেমা হল বন্ধ রাখার হুমকি দিয়েছে ছবি দুটির বাংলাদেশের প্রযোজক জাজ মাল্টিমিডিয়া। গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের এক রেস্তোরাঁয় এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এ সময় প্রযোজক, হল মালিক, বুকিং এজেন্ট ও অভিনয়শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন। এখানে বক্তব্য রাখেন চিত্রনায়ক শাকিব খান, ফেরদৌস, অমিত হাসান, আরিফিন শুভ, শিবা শানু, পরিচালক কাজী হায়াৎ, জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ, প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অভিনেতা-পরিচালক নাদের চৌধুরী।
শাকিব খান বলেন, ‘যৌথ প্রযোজনার ছবি বন্ধের নামে যারা আন্দোলন করছে, তারা স্রেফ ব্যক্তিস্বার্থেই করছে। তাদের কয়েকজন পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীকে ডেকে যৌথ প্রযোজনার ছবিতে অভিনয় কিংবা নির্মাণের সুযোগ করে দেওয়া হউক, তাহলে তারা আন্দোলন থেকে সরে যাবে। সুযোগের অভাবে তারা এমন করছে।’
তিনি আরও বলেন, যারা বলছেন ‘নবাব’ ছবি যৌথ প্রযোজনার নামে প্রতারণা, তারা মূর্খ। সেই মুর্খদের বলছি, আমরা সব সময় বাংলাদেশের ছবির পক্ষেই থেকেছি এখনো আছি। ভবিষ্যতেও থাকব। সরকারের নিকট অনুরোধ করব, আমরা যারা ভালো কাজ করছি, তারা যেন নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারি, সেই সুযোগ দেয়।
ফেরদৌস বলেন, কাফনের কাপড় পরে যারা আন্দোলন করেছিলেন তারা ক্ষুদ্র স্বার্থেই আন্দোলন করেছেন। আমার কাজ অভিনয় করা, যৌথ প্রযোজনা কিনা সেটা দেখা সরকারের কাজ। আমি যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণের পক্ষে।
অমিত হাসান বলেন, জাজের যে দুটি ছবি নিয়ে আপত্তি করা হয়েছে, সেগুলো সরকারি নিয়ম মেনেই নির্মিত হয়েছে। তারপরও কেন এটার বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে, তা বুঝতে পারছি না।
প্রযোজক আবদুল আজিজ বলেন, চলচ্চিত্রে যারা বেকার তারাই আন্দোলন করছে। মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানসহ অনেককে ডাক দিলেই আন্দোলন ছেড়ে যৌথ প্রযোজনার ছবি করতে চলে আসবে। যারা ছবি বানাচ্ছে না, হল বানাচ্ছে না, ছবি প্রযোজনা করছে না, তারাই এখন আন্দোলন করছেন। আমি মনে করি আন্দোলন ছেড়ে কাজে নামুন। আপনারা যদি এ আন্দোলন চালু রাখেন আর ‘বস টু’ ও ‘নবাব’ যদি মুক্তি না পায়, তাহলে জাজের অধীনের হলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, এ ছবি দুটি মুক্তি না পেলে আমাদের সিনেমা হলগুলো ঈদে বন্ধ রাখব।