ত্যাগের মহিমায় আবারও এলো ঈদ উল আজহা। ঈদ মানে ধনী-দরিদ্র মিলে মিশে এক সাম্যের আনন্দ। পেছনের দুঃখ দুর্দশাকে ভুলে গিয়ে আনন্দের উৎসবে মিলিত হওয়াই ঈদ।
ঈদুল আজহার আছে আরেক বিশেষ দিক। এদিন মহান আল্লাহতালার উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি দেয়া হয়। ঈদ উল আজহার তাৎপর্য তাই মুসলিমদের কাছে বিশেষ অর্থ বহন করে।
ঈদ আনন্দের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে: ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের নিকট উৎসবের আমেজ। বাঙালির জীবনে ঈদ সার্বজনীন রূপ লাভ করে থাকে। ধনী-গরিবের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একই কাতারে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উৎসবের আনন্দ বাঙালির জীবনে ভিন্নমাত্রা প্রদান করে থাকে।
কোরবানি ঈদের মূল তাৎপর্য যেন হয় মনের পশুকে কোরবানি দিয়ে মানবতা, সহমর্মিতা আর কল্যাণের উদ্ভাসন। এই উৎসব আনন্দে আমরা যেনো গরীব মানুষের দুঃখ, দুর্দশার কথা ভুলে না যাই। তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখিয়ে আমরা যেন তাদের পাশে দাঁড়াই।
ঈদ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে ত্যাগের শিক্ষা প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য। কোরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয়। আসুন, আমরা সকলে পবিত্র ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ-নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
ঈদ উপলক্ষে নাড়ির টানে ছুটে গেছেন কোটি মানুষ। পশু কোরবানির প্রস্তুতির মধ্যে দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে গেছে ঈদের খুশি। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পশু কোরবানির মাধ্যমে যে ত্যাগের শিক্ষা, তা ছড়িয়ে গেছে দেশজুড়ে।
ত্যাগের মহিমায় যেন প্রকৃতই মানবতার জয়গানে উদ্ভাসিত হই আমরা সবাই। এবারের ঈদে এটাই যেন হয় সকলের আনন্দ উৎসবের মূলমন্ত্র। ঈদ মুবারক।