বাংলাদেশ থেকে যারা হজ করতে যান এমন অনেক যাত্রী বলতে গেলে প্রতিবছরই হয়রানির শিকার হন। এই ভোগান্তির অন্যতম কারণ হজ এজেন্সির অনিয়ম। তবে এবার হজযাত্রা শুরুর ১২ দিন আগেই এলো শঙ্কার খবর।
চ্যানেল আইয়ের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, সৌদি সরকারের ই-হজ ব্যবস্থাপনায় জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ে মক্কায় এসেও বাড়ি ভাড়া সম্পন্ন করতে পারছে না বাংলাদেশের বেসরকারি এজেন্সিগুলো।
এমনকি আসন্ন হজের বাংলাদেশের সার্বিক ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন হলেও সৌদি সরকারের ডিজিটাল ই-হজ সিস্টেমের ত্রুটির কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও মক্কায় হাজিদের বাড়ি ভাড়া, মিনায় ও আরাফাত ময়দানে হাজিদের খাবারের ব্যবস্থা সম্পন্ন করা যায়নি।
এর ফলে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া হাজিরা চরম ভোগান্তিতে পড়বেন বলেই আমাদের শঙ্কা। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ হজ এজেন্সিগুলো এ বিষয়ে যথাযথ ভূমিকা রাখবে বলেই আমরা আশা করি।
এছাড়া এর আগে হজযাত্রার ফ্লাইট শিডিউলে বিপর্যয়, কিছু অসাধু এজেন্সির নানা অনিয়ম, সৌদিতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার, এমনকি হাজিদের টাকা মেরে উধাও হয়ে যাওয়ার খবরও আমরা এর আগে দেখেছি। সেসব বিষয় বিবেচনায় রেখে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে হবে। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে হাজিদের হয়রানি করলে এর বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
আমরা মনে করি, হজ ব্যবস্থাপনা আর দশটি ব্যবসার মতো শুধুই ব্যবসা নয়। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে সাধারণ ধর্মভীরু মানুষ এখানে টাকার বিনিময়ে সেবা প্রত্যাশা করে। তাই এক্ষেত্রে হাজিরা এমন ভোগান্তি, সীমাহীন কষ্ট, অনিয়ম আর দুর্নীতির শিকার হবেন, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে এখন থেকেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।