আগামী নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক, নিরপেক্ষ, নির্দলীয় কিংবা অন্তবর্তীকালীন যেকোনো নামে নির্বাচন কমিশনের প্রতি ‘বন্ধুপ্রতিম’ সরকার চায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নয় সব দলের সমান সুযোগ নিশ্চিতের জন্য নির্বাচনের কমপক্ষে ১৫ দিন আগে থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে দলটির পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব দেয়া হয়। সকাল ১১ টা থেকে শুরু হওয়া এই সংলাপ চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। সংলাপ শেষে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম আলোচনার সার-সংক্ষেপ তুলে ধরেন।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবনার কথা থাকলেও ১৬-১৭ দিন আগে দলের মহাসচিব আমিনুর রহমান ‘অপহরণ’ হয়েছেন, এমন অভিযোগের কথা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান দলটির চেয়ারম্যান।
এই বৈঠকে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দলটি কোনো সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ইসিকে দেয়নি জানিয়ে দলীয় প্রধান বলেন,‘ যেই নামেই ডাকা হোক না কেনো, দরকার একটি অরাজনৈতিক মনোভাবাপন্ন নিদর্লীয়-নিরপেক্ষ সরকার। এর জন্য প্রয়োজনে বিদ্যমান কাঠামো সমঝোতার মাধ্যমে পরিবর্তন-সংশোধন করা যেতে পারে। আমরা এর পক্ষে আমাদের যুক্তিগুলো তুলে ধরেছি কোনো বিস্তারিত রূপরেখা দেইনি।’
১৯৭০ থেকে ১৯৯৬ সালের জুন পর্যন্ত নির্বাচনগুলোতে সেনা মোতায়েনে জড়িত ছিলেন জানিয়ে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা আগামী নির্বাচনেও সেনা মোতায়েন চান।
দেশের অন্যান্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারীবাহিনীর ভূমিকার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে তিনি বলেন,“ ওনারা পলিটিসাইজড (রাজনীতিকীকরণ) হয়ে গেছেন বলে মানুষ মনে করে। ওনারা কি জনগণের সামনে আবারও আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবেন? সহায়ক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে নির্বাচন কমিশন গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন ভবনে আসে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রতিনিধিদল।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসার আগে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ইসি।