দখল করা ভূমিতে অবৈধ বসতি নির্মাণ বন্ধ করতে ইসরাইলকে আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এসব বসতি নির্মাণ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন উল্লেখ করে তা বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে ওই প্রস্তাবে।
প্রস্তাবটি পাসে ফিলিস্তিন সন্তোষ প্রকাশ করলেও প্রস্তাবের শর্তগুলো মানবে না বলে জানিয়েছে ইসরাইল।
প্রস্তাবটি প্রথমে এনেছিল মিশর। তখন এর বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার জন্য নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনুরোধ করে ইসরাইল। এরপর মিশর প্রস্তাবটি ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু পরে মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, সেনেগাল আর ভেনিজুয়েলা আবার প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে তোলে।
বিবিসি জানিয়েছে, ১৫টি সদস্য দেশের পরিষদে ১৪-০ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়। আর যুক্তরাষ্ট্র ভোট দেয়নি। এ ধরণের ভোটাভুটিতে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র ভেটো বা আপত্তি দিয়ে থাকে। তবে এই প্রস্তাবের ভোটের সময় দেশটি ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে।
জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার বলেছেন, “প্রস্তাবের সব শব্দ বা বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয় বলে যুক্তরাষ্ট্র এর পক্ষে নেই। আবার আমরা বিরুদ্ধেও দাঁড়াইনি, কারণ সমস্যার সমাধানে যে ‘দুই দেশ’ নীতিতে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, এই প্রস্তাব তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।”
প্রস্তাবটি পাস হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে ফিলিস্তিনি নেতারা বলেছেন, এই প্রস্তাব আন্তর্জাতিক আইনের বড় বিজয়। ইসরায়েল যে আগ্রাসী কাজ করছে, বিশ্ব সেটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেন তারা।
তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, ইসরাইল এই ভোটের ফল মানবে না। বরং এই প্রস্তাবের কার্যকারিতা ঠেকাতে ট্রাম্পের জন্য অপেক্ষা করা হবে।
ট্রাম্প অবশ্য এর মধ্যেই বলেছেন, জানুয়ারিতে তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর পরিস্থিতি পাল্টে যাবে।
বসতি নির্মাণের বিষয়টি ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনাকর বিষয় এবং শান্তি আলোচনার বড় বাধা বলে মনে করা হয়। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে দখল করা জমিতে ১৪০টি বসতি তৈরি করেছে ইসরাইল, যেখানে প্রায় ৫ লাখ ইহুদি বসবাস করে।