ইরানে এক পরমাণু বিজ্ঞানীকে ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছে তার পরিবার। ২০১০ সাল থেকেই তিনি পুলিশের হাতে আটক ছিলেন।
শাহরাম আমিরী নামের ওই বিজ্ঞানীর মা জানান, ফাঁসি দেয়ার পর ছেলের মৃতদেহ তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আমিরীর গলায় দড়ির দাগ রয়েছে। এরপর তাকে দাফন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইরান ফেরার পর আমিরীকে আটক করে একটি অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে রাখা হয়। সেখান থেকে ফিরে তিনি দাবি করেন, সিআইএ তাকে জোর করে আটকে রেখেছিল। গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি ইরানের নিউক্লিয়ার কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেন।
যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার আগেই ২০০৯ সালে মক্কায় হজ সম্পন্ন করে দেশে ফেরার পর তিনি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। এর এক বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে খোঁজ মেলে আমিরীর, তবে সশরীরে নয়। আমিরীর রেকর্ড করা কিছু ভিডিওবার্তা গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে তিনি জানান, সিআইএ তাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। ‘সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশের জন্য তীব্র মানসিক চাপ’ও দেয়া হচ্ছে।
এর প্রায় এক মাস পর ২০১০ সালের জুলাইয়ে আমিরী ওয়াশিংটন ডিসিতে পাকিস্তান দূতাবাসের ইরানিয়ান ইন্টারেস্ট সেকশনে যোগাযোগ করে জানান, তিনি সিআইএ’র হাত থেকে পালিয়ে এসেছেন। তাদের সাহায্যে ইরানে যোগাযোগ করে তিনি দেশে ফিরতে সফল হন। তখন পরিবার ও সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তাকে বীরের মতো অভ্যর্থনা জানান।
অথচ ২০১১ সালের মে মাসেই তাকে রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর আমিরীর মৃতদেহ পাওয়ার আগ পর্যন্ত আর কোনো খোঁজ পায়নি তার পরিবার।