পরমাণু চুক্তি রক্ষা করতে একের পর এক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইরানসহ বিশ্বের প্রভাবশালী কয়েকটি দেশ। যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি ত্যাগের পর থেকে তাকে বাদ দিয়ে হলেও চুক্তিটা টিকিয়ে রাখার জন্য নানা রকম পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা করছে বিশ্বনেতারা।
ইরান পরমাণু চুক্তি যেন যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে বাতিল হয়ে না যায়, সেজন্য ইরানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে চুক্তিভুক্ত বাকি দেশগুলো। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল এ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে।
গত ৮ মে ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেন। ঘোষণা দেন চুক্তির ফল হিসেবে তেহরানের বিরুদ্ধে তুলে নেয়া অবরোধগুলো আবারও আরোপের। চুক্তির অন্যান্য পক্ষের মধ্যে ফ্রান্স, জার্মানি আর যুক্তরাষ্ট্রের শত পরামর্শ উপেক্ষা করেছেন তিনি।
ট্রাম্প সরে আসার পর এই তিনটি দেশসহ অন্য দুই চুক্তিভুক্ত দেশ রাশিয়া এবং চীন সমর্থন জানায় ইরানের প্রতি।
ফরাসি মন্ত্রীরা এই চুক্তি বাতিলের সম্ভাব্য জটিলতা নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব। তাদের নানা অভিযোগের মূল কথা: পরমাণু চুক্তি বাতিলের পাশাপাশি অবরোধ আরোপ করা হলে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়বে ইউরোপীয় ব্যবসা-বাণিজ্য।
চুক্তিভুক্ত দেশগুলো ছাড়াও পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকদের মতে, বেশকিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও এই চুক্তিই ইরানকে পারমাণবিক বিশ্বশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা থেকে ঠেকানোর সবচেয়ে ভালো উপায়।