ইব্রাহিম রাইসি ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইসরায়েল বলেছে, রাইসিকে নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর উদ্বেগ থাকা উচিত।
রাইসি এখন পর্যন্ত ইরানের সবচেয়ে বেশি উগ্রবাদী প্রেসিডেন্ট মন্তব্য করে ইসরায়েল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিওর হায়াত বলেন, ‘নতুন নেতা ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করবেন।’
শনিবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাইসির নাম ঘোষণা করে।
বিবিসি বলছে, ৬২ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার প্রাপ্ত ভোট দুই কোটি ৮৯ লাখ ৩৩ হাজার ৪টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহসিন রেজাই পেয়েছেন ৩৪ লাখ, ১২ হাজার ৭১২ ভোট।
এ ছাড়া তৃতীয় অবস্থানে থাকা আবদুল নাসের হেমাতি ২৪ লাখ ২৭ হাজার ২০১ ভোট এবং চতুর্থ স্থানে থাকা আমির হাসেমি পেয়েছেন ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭১৮ ভোট।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির পর প্রেসিডেন্ট দেশটির দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। ইরানের আভ্যন্তরীণ নীতিমালা ও পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে প্রেসিডেন্টের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
আগস্টে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন রাইসি। ইরানের প্রধান বিচারপতি রাইসি অতি-রক্ষণশীল মতাদর্শ ধারণ করেন।
জয়লাভের পর এক বার্তায় রাইসি সরকারের উপর জনগণের বিশ্বাস শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, তিনি পুরো জাতির নেতা হবেন।
‘‘আমি একটি কঠোর পরিশ্রমি, বৈপ্লবিক এবং দুর্নীতিবিরোধী সরকার গড়ে তুলবো।’’
কোনো রাখঢাক না রেখে নিজেকে একজন উগ্রবাদী মানুষ হিসেবে বর্ণনা করে করে টুইটবার্তায় লিওর হায়াত বলেন, তিনি ইরানের মিলিটারি পারমাণবিক কাযক্রমকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
ইরান এবং ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে একে অন্যের বিরুদ্ধে ‘ছায়া যুদ্ধ’ চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে দুই দেশই আঘাতের বদলে আঘাতের পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এ পর্যন্ত তারা সর্বাত্মক বিরোধকে এড়িয়ে চলেছে। সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা আরও বেড়েছে।