ইরাকে মসুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইরাকি বিশেষ বাহিনী। ক্যাম্পাসটি আইএসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ছিলো।
এ কারণে মসুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দখলের বিষয়টিকে কৌশলগতভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয় হিসেবে দেখছে ইরাক সরকার।
বিবিসি জানায়, দু’দিনের ভারি গোলাগুলির পর শনিবার বুলডোজার দিয়ে ক্যাম্পাসের একদিকের দেয়াল ধসিয়ে বিশেষ বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। ইরাকি বাহিনীর এক কমান্ডার জানান, আইএস বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরির রাসায়নিক দিয়ে আইএস জঙ্গিরা যে সব বিস্ফোরক ও গাড়ি বোমা বানিয়েছিল সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। আরও অনেক রাসায়নিক দ্রব্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে।
মসুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দখলের মধ্য দিয়ে ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের বেশিরভাগই এখন আইএস দখলমুক্ত। একজন জেনারেলের বরাতে ইরাকের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী মসুল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাটি পুরোপুরি মুক্ত করেছে।
ইরাকি বাহিনী জানিয়েছে, মসুল শহরের পূর্ব অংশ এর আগেই সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। মসুলের পশ্চিমাঞ্চল এখনও আইএসের দখলে থাকলেও আগের মতো হামলা চালানোর ক্ষমতা নেই জঙ্গিদের।
সম্প্রতি আইএসের দেয়া খবরেই বলা হচ্ছিল, যৌথবাহিনীর বিমান হামলায় টাইগ্রিসের ওপরকার সবগুলো সেতুই ধ্বংস হয়ে গেছে। ওই হামলায় যে মসুলের বাসিন্দারা ব্যাপক দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে তা জানানোই ছিল এর উদ্দেশ্য।
তবে উপগ্রহ থেকে পাওয়া চিত্র থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষতি আসলে ততটা ব্যাপক নয়। ইরাকি বাহিনী আশা করছে, সেতুগুলো মেরামত করে মসুল শহরের পশ্চিম অংশে তাদের অভিযানের সময় সেগুলো কাজে লাগানো যাবে।