সাধারণত বলিউডের কোনো তারকার মৃত্যুতে অন্তিম যাত্রায় থাকে তারকাদের মিছিল। ঢল নামে ভক্ত অনুরাগীদের। কিন্তু এখন সময় খারাপ। লকডাউনে পুরো ভারত। আর এ কারণে রীতিমত হাতে গোনা কয়েকজনের উপস্থিতিতে দাফন সম্পন্ন হলো দাপুটে অভিনেতা ইরফান খানের!
এমনটা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি কেউ! এমন অনাড়ম্বর বিদায় এর আগে দেখেনি বলিউড! ইরফান খানকে শেষ বিদায় দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন দুই ছেলে বাবিল ও অয়নসহ পরিবারের পাঁচ সদস্য ও অভিনেতার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কয়েকজন!
বুধবার দুপুর তিনটার দিকে ইরফান খানের দাফন সম্পন্ন হয় মুম্বাইয়ের ভারসোভা কবরস্থানে। শেষকৃত্যের সময় তার পরিবার ও ঘনিষ্ঠ ক’জন বন্ধ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনীর সদস্য ও কিছু ফটো সাংবাদিক ছাড়া করোনাকালে আর কেউ ছিলেন না।
২০১৮ সালে নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমার ধরা পড়ে ইরফান খানের। এরপর একবছর বিদেশে থেকে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। সেটারই ইনফেকশন থেকে পুনর্বার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বলিউড অভিনেতা ইরফান খানকে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউতে নেয়া হয়। বুধবার সকালে হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
গত শনিবার (২৫ এপ্রিল) মাকে হারিয়েছেন এই অভিনেতা। লকডাউনের কারণে জয়পুরে যেতে না পারায় ভিডিও কনফারেন্সে শেষকৃত্যে অংশ নিতে হয়েছে তাকে। সেই শোক কাটতে না কাটতেই এবার তিনি চলে গেলেন।
মার্চ মাসে মুক্তি পায় ইরফানের ‘আংরেজি মিডিয়াম’। তখনও শরীর অসুস্থ ছিল বলে তাকে প্রচারে দেখা যায়নি। করোনার কারণে ব্যবসা করতে পারেনি ছবিটি।
বলিউডে ইরফান খান তিন দশক ধরে কাজ করছেন। এরমধ্যে ৫০ এর বেশি হিন্দি ছবি, আঞ্চলিক ছবি ও হলিউডের বেশ কিছু ছবিতে কাজ করেছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই অভিনেতা চারবার ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতে নেন। সিনেমায় সার্বিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১১ সালে ইরফান খানকে পদ্মশ্রী দেয়া হয়।