ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিধ্বস্ত করে টেস্টে ঐতিহাসিক অঘটনের জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশ- এই শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড। তাদের শিরোনামই বলে দিচ্ছে মুমিনুলদের জয়কে বর্তমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নদের কতটা ধাক্কা দিয়েছে।
নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে ইতিহাস গড়া জয়ের মূল কারিগর ছিলেন বাংলাদেশের পেসাররা। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর নখদন্তহীন পেস আক্রমণ নিয়ে বহু হা-হুতাশ করতে হয়েছে। পেসাররাই মাউন্ট মঙ্গানুইতে চমকে দিয়েছেন। চোখ কপালে ওঠা অবিশ্বাস্য সব কীর্তি গড়ে ফেলেছেন ইবাদত-তাসকিনরা।
ক্রিকইনফো পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে লিখেছে, নিউজিল্যান্ডকে শেষ করে দিয়ে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের পেসাররা। প্রতিপক্ষের ২০ ব্যাটারের ১৩ জনের উইকেট তারাই তুলে নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন। এক টেস্টে এতবেশি সংখ্যক উইকেট টাইগার পেসাররা আগে কখনোই পাননি।
বাংলাদেশের জয়ের নায়ক ইবাদত হোসেন ২১ ওভারে ৬ মেডেন ৪৬ রানে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে তিনি নেন ১ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে তাসকিন আহমেদ ১৪ ওভারে ৩৬ রানে নেন ৩ উইকেট। আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম প্রথম ইনিংসে ২৬ ওভারে ৬৯ রানে নেন ৩ উইকেট।
২০১৩ সালে হারারে টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের পেস বোলাররা মোট ১১ উইকেট শিকার করেছিলেন। বুধবার বে ওভালে সেই পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিলেন ইবাদত-তাসকিন-শরিফুলে গড়া পেসত্রয়ী।