জাতীয় দলের দুই ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যর্থতার দিনে দারুণ বোলিং করেছেন ইবাদত হোসেন। তার তোপেই ২২০ রানে গুটিয়ে গেছে সেন্ট্রাল জোন। বিসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দিনের শেষ বেলায় ব্যাটিংয়ে নেমে জুনায়েদ সিদ্দিকের উইকেট হারিয়ে ৭২ রান তুলেছে নর্থ জোন। অন্য ম্যাচে শামসুর রহমানের ব্যাটিং নৈপুণে সাউথ জোনের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের পথে ইষ্ট জোন
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে বুধবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সেন্ট্রাল জোনের। পেসারদের দাপটে ২৪ রানেই চার ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা। ৩ রান করা লিটন দাস। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মার্শাল আইয়ুবকে বিদায় করেন ইবাদত। মোসাদ্দেক ফেরেন জিয়াউর রহমানের বলে।
১৪৫ বলে ১৩ চার ও ১ ছক্কায় মজিদ করেন সর্বোচ্চ ৭৬ রান। সেন্ট্রাল জোনের ইনিংস দ্রুত শেষ করেন ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট পাওয়া ইবাদত। ৫১ রানে ৬ উইকেট নেন তিনি। তার আগের সেরা বোলিং ছিল ৪/৩২।
পরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুত জুনায়েদকে হারায় নর্থ জোন। মিজানুর রহমান ও ফরহাদ হোসেন বাকি সময় কাটিয়ে দেন। মিজানুর ৩৪ ও ফরহাদ ৩১ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
অন্য ম্যাচে শামসুর রহমানের ব্যাটিং নৈপুণে সাউথ জোনের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের পথে ইষ্ট জোন। প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেটে ৩১৪ রান সংগ্রহ তাদের।
রাজশাহীতে সাউথের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে, রনি তালুকদার ও শামছুর রহমানের ব্যাটে শুরুটা ভালো হয় ইষ্ট জোনের। উদ্বোধনী এই জুটিতে আসে ৯২ রান। ব্যক্তিগত ৫৩ রান করে রনি বিদায় নিলেও সেঞ্চুরি পেয়েছেন শামসুর রহমান। ফজলে মাহমুদের বলে আউট হওয়ার আগে ১৫৩ রান করেন তিনি। এরপর মাহমুদুল হাসান ২১ ও ১ রান করে জাকির হাসান বিদায় নিলে চাপে পরে ইষ্ট জোন।
তবে তাসামুল হক ও ইয়াসির আলী’র ব্যাটে– স্বস্তি নিয়েই দিন শেষ করেছে ইষ্ট জোন। তাসামুল ৪৭ ও ২৬ রান করে অপরাজিত আছেন ইয়াসির। ৩ উইকেট নিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক।