ড্রতে শেষ হল বিসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ড। শনিবার ফলোঅনে পড়েও এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরিতে ইস্ট জোনের সঙ্গে ড্র করেছে সাউথ জোন। আর আবু হায়দার রনির বোলিং তোপের মুখে সেন্ট্রাল জোনের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত ড্র করে নর্থ জোন।
শামসুর রহমানের ১৫৩ ও ইয়াসির আলীর ১১২ রানের ইনিংসে ভর করে ইস্ট জোন ৪৭৩ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায়। জবাবে সাউথ জোন এনামুল হক জুনিয়র ও মাহমুদুল হাসানের বোলিং তোপে ২৫৮ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ে।
অবশ্য ফলোঅন করতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের অনবদ্য ১৩৩ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৭৭ রান তোলে। এরপর ড্র মেনে নেয় উভয় দল।
আগেরদিন এনামুল হক বিজয় ৪৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। শনিবার বিজয় প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ১৭তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ২০৫ বল খেলে ১৩টি চার ও ১ ছক্কায় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
২৮৫ রানের মাথায় বিজয়ও সাজঘরে ফেরেন। পরে রকিবুল হাসান ও মেহেদী হাসান মিলে দলীয় সংগ্রহকে ৩৭৭ রান পর্যন্ত টেনে নেন। এই রানে ড্র মেনে নেয় উভয় দল।
বল হাতে ইস্ট জোনের আফিফ হোসেন ও এনামুল হক জুনিয়র ২টি করে উইকেট নেন। ১টি উইকেট নেন মাহমুদুল হাসান। ম্যাচসেরা হন ১৫৩ রানের ইনিংস খেলা ইস্ট জোনের শামসুর রহমান শুভ।
অন্য ম্যাচে, জয়ের জন্য শেষদিনে বিসিবি নর্থ জোনের দরকার ছিল ২৭৭ রান, আর সেন্ট্রাল জোনের ৯ উইকেট। শেষ পর্যন্ত জয় পায়নি কেউই।
২৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শনিবার শেষদিনে বিসিবি নর্থ জোন ৯ উইকেটে ২৫৫ রান তোলার পর আলোকস্বল্পতার কারণে ম্যাচ ড্র হয়ে যায়। ৮৬ রানে ৬ উইকেট নেন পেসার আবু হায়দার রনি।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর করেন সানজামুল। তবে ৮ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। ৯২ রান করে রবিউলের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ইনিংস। হাফসেঞ্চুরি করেছেন জহুরুল (৫২)।
জয় থেকে ৩৪ রান দূরে নর্থ জোন, তখন সাউথ জোনের দরকার ১ উইকেট। এরপর অবশ্য দুই ওভার পাঁচ বল হতেই আলোকস্বল্পতায় আর খেলা হয়নি। তখনো দিনের প্রায় ১৩ ওভার বাকি ছিল।
রনি প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার সেরা ৮৬ রানে নেন ৬ উইকেট। ৫৪ রানে ৩ উইকেট নেন রবিউল। ম্যাচসেরা হয়েছেন ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়া নর্থ জোনের ইবাদত হোসেন। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও চার উইকেট শিকার করেন এ পেসার।
ড্রয়ের পরও পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষেই আছে সেন্ট্রাল জোন। প্রথম রাউন্ডের জয় ও দ্বিতীয় রাউন্ডের ড্রয়ে তাদের সংগ্রহ ১৩.৩২ পয়েন্ট। ৭.০৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে নর্থ জোন। দুই ম্যাচের দুটিতেই ড্র করে ইস্ট জোনের সংগ্রহ ৭.৯৪ পয়েন্ট। দুই ম্যাচে এক হারে ও এক ড্রতে সাউথ জোনের সংগ্রহ ৪.৩৯ পয়েন্ট।