মাশরুমের পুষ্টিগুণের কথা কম-বেশি সবাই জানেন। বিশ্বে এখন অনেক জনপ্রিয় মাশরুম। মাশরুম শুধু উপকারিই নয়, খেতেও অনেক মজার। ইফতারে যদি এই পুষ্টিকর ও উপকারি মাশরুম দিয়ে কোনো নতুন একটি আইটেম তৈরি করেন তাহলে খুশি হয়ে যাবে পরিবারের সবাই। নতুন ও মজাদার আইটেম হিসেবে জুড়ি নেই মাশরুম ফ্রাই’র। সারাদিন রোজা রাখার পর শরীরের জন্য একটি আদর্শ খাবার হবে এই লোভনীয় মাশরুম ফ্রাই। যেভাবে তৈরি করবেন-
প্রয়োজনীয় উপকরণ: ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি, পুদিনা পাতা, লবণ, ৩টি তেজপাতা, ২টি দারচিনি, ২টি এলাচ, জিরা, ১টি টমেটো কুচি, ৪ চামচ লেবুর রস, ৩ টি গোলমরিচ দানা, আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ধনে পাতা কুচি, আধা চামচ জিরা গুঁড়ো, আধা চামচ ধনে গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ আদা বাটা, ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা, লাল মরিচ গুঁড়ো, ৩টি কাঁচা মরিচ কুচি মাশরুম, মাখন, তেল পরিমাণ মতো, লবণ স্বাদ মতো।
প্রস্তুত প্রণালী: প্রথমে একটি ফ্রাইপেনে তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, এলাচ, দারচিনি, জিরা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে। তারপর এতে পেঁয়াজ কুচি ও লবণ, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে। এরপর তাতে আদা বাটা, রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ হালকা বাদামি হয়ে আসলে তাতে টমেটো কুচি দিয়ে দিবো। চুলোয় দেয়ার কিছুক্ষণ আগেই মাশরুম ছোট ছোট করে কেটে ধুয়ে নিতে হবে। এবার মসলার মধ্যে মাশরুমের পিসগুলো দিয়ে সামান্য একটু পানি যোগ করে ফ্রাইপ্যান ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো। পানি শুকয়ে আসলে মাশরুম নামিয়ে ফেলতে হবে।
এবার ২ থেকে ৩টি রসুনের কোয়া, সামান্য জিরা, গোলমরিচ দানা একসঙ্গে নিয়ে ভালো করে পেস্ট করে নিতে হবে।
এবার আরেকটি ফ্রাইপ্যানে সামান্য একটু মাখন নিয়ে রসুন-গোলমরিচের পেস্ট মাখনে দিয়ে দিবো। কিছুক্ষণপর এর মধ্যে ধনে পাতা কুচি, সামান্য একটু ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, লাল মরিচ গুঁড়ো দিবো। একটু নেড়েই রান্না করা মাশরুম এরমধ্যে দিয়ে দিবো।মসলা যেন পুড়ে না যায় তাই খুব সামান্য একটু পানি দিতে হবে। নামানোর আগে একটু লবণ দিয়ে নেড়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।
ইফতারে গরম গরম পরিবেশন করুন মাশরুম ফ্রাই।