এখন থেকে ঘরে বসে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এক ব্যাংকের গ্রাহক (ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান) অন্য ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে আগের চেয়ে আড়াই থেকে পাঁচগুণ বেশি টাকা পাঠাতে পারবেন। দিন দিন ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের ব্যবহার বাড়ায় লেনদেনের এই সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশের (এনপিএসবি) আওতাধীন ব্যাংকসমূহে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর আন্তঃব্যাংক সেবা ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় এবং লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ায় ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফারের (আইবিএফটি) লেনদেনের ঊর্ধ্বসীমা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।
‘এতদিন একজন গ্রাহক (ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উভয় ক্ষেত্রে) প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫ বার এবং মোট ২ লাখ টাকা লেনদেন করতে পারতেন। একবারে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পাঠানো যেত। কিন্তু এখন থেকে নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে একজন ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ বার এবং মোট ৫ লাখ টাকা লেনদেন করতে পারবেন। একবারে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা পাঠানো যাবে। অর্থাৎ লেনদেনের সীমা আড়াইগুণ বাড়ানো হয়েছে।’
প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকরা প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২০ বার লেনদেন করতে পারবেন। প্রতিদিন মোট ১০ লাখ টাকা লেনদেন করা যাবে। একবারে লেনদেন করা যাবে ২ লাখ টাকা। বর্তমানে একবারে ৫০ হাজার টাকার বেশি পাঠানো যায় না। প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে লেনদেনের সীমা বেড়েছে ৫ গুণ।
আন্তঃব্যাংক এটিএম, পয়েন্ট অব সেলস (পস), ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং- এ ৪ ধরনের সেবা দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ বা এনবিএসবি চালু হয়। শুরুতে এনপিএসবির আওতায় শুধু এটিএম ও পস সেবা দেয়া হচ্ছিল। ২০১৭ সালের নভেম্বরে এনপিএসবির মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং তহবিল স্থানান্তর কার্যক্রমের অনুমোদন দেয়া হয়। ওই সময় প্রাথমিকভাবে ৬টি ব্যাংকের মধ্যে আন্তঃব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। বর্তমানে এনপিএসবির মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং তহবিল স্থানান্তর কার্যক্রমে মোট ২৪টি ব্যাংক যুক্ত হয়েছে।