লন্ডন থেকে: বিশ্বকাপের ফাইনাল ‘টাই’ হওয়ার ঘটনা প্রথমবার। ঘটল লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। শিরোপা নির্ধারণে ম্যাচ গড়াল সুপার ওভারে। এবারও টাই! ৬ বলের ম্যাচের শেষে তাই নিউজিল্যান্ডের হার। তাদের চেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারায় ইংল্যান্ডের হাতেই উঠল বিশ্বকাপের শিরোপা। শেষ হল দেড় মাসের ক্রিকেট উৎসব।
দারুণ ক্রিকেট উপহার দেয়া কিউইদের সান্ত্বনা হয়ে রইল একটাই, ফাইনালে নির্ধারিত ও সুপার ওভারের লড়াইয়ে রানে-উইকেটে হারেনি তারা! বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল ৩০মে, ওভালে ইংল্যান্ড-সাউথ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে। ৪৮ ম্যাচ দৈর্ঘ্যের মহোৎসবের সমাপ্তি টানা হল ‘ক্রিকেটের মক্কা’ খ্যাত লর্ডসে।
শুরু থেকেই যাদের ফেভারিট ধরা হচ্ছিল সেই ইয়ন মরগানের দলই এমসিসি প্যাভিলিয়নের বারান্দায় দাঁড়িয়ে হেসেছে শেষ হাসি। অবিশ্বাস্য নাটকীয়তা আর শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল এর আগে দেখেনি বিশ্ব ক্রিকেট।
আগের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে শুরুর ধাপ থেকেই বিদায় নেয়া ইংল্যান্ড গত চার বছরে নিজেদের তৈরি করেছে নতুন রূপে। গেল কয়েকবছর ধরেই তারা এতটা দারুণ খেলেছে যে, তাদের ‘ফেভারিট’ মানতে বিন্দুমাত্র সংশয় ছিল না কারও। যাদের নাম উচ্চারিত হচ্ছিল সর্বত্র, সেই ইয়ন মরগানের দলই মাথায় পড়েছে শিরোপার মুকুট।
আগের ১১টি বিশ্বকাপ ফাইনালের সঙ্গে এবারেরটির কোনো তুলনাই চলে না। আগে শিরোপার মঞ্চে ১০টি ম্যাচেই জয়-পরাজয় ব্যবধান ছিল অনেক। যেটিকে সবচেয়ে ক্লোজ ম্যাচ ধরা হয় সেটিতে ব্যবধান ছিল ৭ রানের। ভারতের ইডেন গার্ডেনসে ১৯৮৭ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ২৫৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করা ইংলিশরা করতে পেরেছিল ২৪৬।
আরেকটি বিশ্বকাপের জন্য চার বছরের অপেক্ষা। আগামী বিশ্বকাপ হবে ভারতের মাটিতে। তার আগে ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় বসবে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর।