বুদ্ধিজীবী হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আলবদর কমান্ডার আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগ বহাল রাখায় বাংলাদেশ ইতিহাসের দায় থেকে মুক্তি পেয়েছে। মঙ্গলবার রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে চ্যানেল আই অনলাইনকে একথা বলেছেন ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন।
এর মাধ্যমে ন্যায় বিচার নিশ্চিতের পাশাপাশি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করে দিতে পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলো মুজাহিদ।
‘বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও যেন কখনও বিশ্বের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে; সে লক্ষ্যেই একাত্তরে দেশের শ্রেষ্ঠ ডাক্তার, প্রকৌশলী, লেখক, শিক্ষক, সাংবাদিকদের খুঁজে বের করেছে আলবদর বাহিনী।’
হাফিজুর রহমান বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা খুবই বিরল। ইতিহাসের বিভিন্ন যুদ্ধে দেখা গেছে সমরে সমরে যুদ্ধ হয়েছে। যুদ্ধের কারণে কিছু সাধারণ মানুষ ক্ষয়-ক্ষতিজনিত কারণে মারা গেলেও কখনও কোথাও নিরীহ মানুষ এবং বুদ্ধিজীবীরা হত্যার লক্ষ্য হয়নি। অথচ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধই একমাত্র যেখানে এভাবে বুদ্ধিজীবীদের খুঁজে বের করে হত্যা করা হয়েছে। অার সেই হত্যাকাণ্ডে দেশের কিছু ক্ষুদ্র স্বার্থবাদী মানুষ সহযোগিতা করেছে।
তিনি মনে করেন, এতে হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ার মাধ্যমে দেশ ইতিহাসের দায় থেকে মুক্তি পেয়েছে।
দেশের জনগণ ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা স্বস্তি পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেন হাফিজুর রহমান।