ব্যাটিং-বোলিং এমনকি কিপিং নিয়েও আছে দলের মাঝে প্রতিযোগিতা। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। নিজেদের মধ্যে মধুর লড়াই উপভোগ করছেন খেলোয়াড়রা, দাবি টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
বুধবার থেকে মিরপুরে শুরু হতে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজের দলে ওপেনার হিসেবে নামতে লড়াই লিটন, সৌম্য, নাঈমের মাঝে। মেহেদীরও অভিজ্ঞতা আছে ওপেন করার।
এমন প্রতিযোগিতা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন মাহমুদউল্লাহ। জানালেন সবাই এটি বেশ উপভোগও করছে, ‘লিটন আমাদের আউটস্ট্যান্ডিং ওপেনার, সৌম্য দারুণ ফর্মে আছে এই বছরে। নাঈম আমাদের দলের টপ র্যাঙ্কিংয়ের ব্যাটসম্যান। শেখ মেহেদীও ওপেনিংয়ে ভালো অপশন। এগুলো নিয়ে আমার খুব একটা চিন্তা নেই। তারা খুব ভালো ছন্দে আছে।’
‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যারা সুযোগ পায় তারা যেন দলের জন্য অবদান রাখে। আমরা যেন ইতিবাচক মানসিকতা দেখাতে পারি। এই মুহূর্তে সবাই ফোকাস। এই মুহূর্তে যে জিনিসটা খুব ভালো, আমাদের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা রয়েছে। সবাই এটা দারুণভাবে উপভোগ করছে।’
বোলারদের মধ্যেও আছে কঠিন লড়াই। মাহমুদউল্লাহর ব্যাখ্যায়, ‘শরিফুল চারটা ম্যাচেই ভালো বোলিং করেছে। মোস্তাফিজ আউটস্ট্যান্ডিং। তাসকিন দারুণ বোলিং করেছে। রুবেল আছে। সাইফউদ্দিন সুযোগ পেয়েই কাজে লাগিয়েছে। আমাদের মধ্যে দারুণ প্রতিযোগিতা চলছে। ব্যাটিং-বোলিং, ফিল্ডিং সব বিভাগেই উন্নতির সুযোগ আছে।’
‘আমার মনে হয় এই জিনিসগুলো ভালো দিক, ভালো একটি দল হওয়ার ক্ষেত্রে। সবসময় মনে করি, র্যাঙ্কিং অনেক সময় দলের অবস্থার পরিষ্কার ছবি দেখায় না। যদি ধারাবাহিকভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারেন, সেই খেলার ধারাবাহিকতা থাকলে নিশ্চিতভাবেই আপনি আগাবেন।’
উইকেটরক্ষকদের মাঝেও আছে প্রতিযোগিতা। নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য ঘোষিত দলে তিন কিপার হলেও লড়াইটা আপাতত মুশফিকুর রহিম ও নুরুল হাসান সোহানের মাঝে। লিটন দাস এ সিরিজে কিপার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন না।
কিউইদের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ সোহান, পরের দুটিতে মুশফিক কিপিং করবেন। যার পারফরম্যান্স ভালো হবে, তিনি গ্লাভস নেবেন পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে।
গ্লাভস নিয়ে প্রতিযোগিতা সম্পর্কে টাইগার অধিনায়ক বললেন, ‘দুজনই ভালো কিপিং করছে। মুশফিক দুর্দান্ত অনেক বছর ধরেই। লিটনের কিপিং নিয়ে কথা হয়নি (হেসে)। আমার মনে হয় সবাই এই মুহূর্তে একই। এটা নিয়ে কোনকিছু নেই। সবাই খুব ইতিবাচকভাবে নিয়েছে।’
‘প্রভাবের কিছু নেই। মুশফিক ওন্ডারফুল টিমমেট। মুশফিক খুশি মনেই তার অভিজ্ঞতা সোহানের সঙ্গে শেয়ার করছে। সোহান কিপিংয়ে দুর্দান্ত, মুশফিকও অসাধারণ।’