ধন্যাঢ্য অঞ্চল হিসেবে পরিচিত উত্তর ইতালির লোম্বার্ডি শহরে বোরকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী লোম্বার্ডির কোনো হাসপাতাল, সরকারি দফতরে বোরকা পড়া কাউকে ঢুকতে দেয়া হবে না।
নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে লোম্বার্ডিতে এই ‘বোরকা নিষেধাজ্ঞা’ কার্যকর হবে।
ইতালির আইনে আগে থেকেই বোরকা নিষিদ্ধ ছিলো, তবে তা সীমিত আকারে কার্যকর ছিলো। ১৯৭০ সালের ইতালিয় আইন অনুযায়ী জনপরিসরে পরিচয়গোপন করে, এমন পোশাক পড়া যাবে না।
সম্প্রতি ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলার পর লোম্বার্ডির নিরাপত্তার জন্য বোরকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে । লোম্বার্ডির গভর্নর রবার্তো মারোনি জানান, আইনে সংশোধন আনা হয়েছে। এখন থেকে মুখ ঢাকা কাউকে সরকারি দফতর, হাসপাতালের মতো জনপরিসরে ঢুকতে দেয়া হবে না।
আরও যেসব দেশে বোরকা নিষিদ্ধ:
জিহাদি হামলা ঠেকাতে সেনেগালের সরকার সেদেশে মহিলাদের বোরকা পড়া নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে। সরকারের যুক্তি হচ্ছে জিহাদি হামলায় যে ধরণের বোমা বা বিস্ফোরক ব্যবহৃত হয় বোরকার নীচে তা লুকিয়ে রাখা যায় খুব সহজে। বিষয়টি বড় বিতর্ক সৃষ্টি করেছে সেদেশে।
তবে সরকার বলার চেষ্টা করছে, তাদের এই প্রস্তাব কেবলই নিরাপত্তার স্বার্থে, এটাকে ইসলাম বিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা ঠিক হবে না।মধ্য আফ্রিকার তিনটি দেশে বোরকা নিষিদ্ধ। এগুলো হচ্ছে শাড, গ্যাবন এবং কঙ্গো ব্রাজাভাইল।
২০১০ সালে ফ্রান্স যখন প্রথম ‘মুখ ঢাকা পোষাক’ নিষিদ্ধ করে তখন তা ইউরোপে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করে। ইউরোপে ফ্রান্সই ছিল প্রথম দেশ যারা এ ধরণের পদক্ষেপ নেয়।ফ্রান্সে বোরকা পড়লে ৩২ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত জরিমানার বিধান আছে আইনে।
এর বিরুদ্ধে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত পর্যন্ত গিয়েছিল ফ্রান্সের মুসলিমরা। কিন্তু তাদের চেষ্টা সফল হয়নি।
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের রাস্তা ধরে হেঁটে যাচ্ছেন এক মুসলিম নারী এ বছরের মে মাসে সেদেশে বোরকা নিষিদ্ধ করা হয়।ফ্রান্সের পথ ধরে ২০১২ সালে বেলিজিয়ামে একই ভাবে নিষিদ্ধ করা হয় বোরকা।
নেদারল্যান্ডসের স্কুলগুলোতে ২০০৭ সালে বোরকা বা মুখ ঢাকা নিকাব নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা পরে অন্যান্য প্রকাশ্য স্থানেও কার্যকর করা হয়েছে। স্পেনের বার্সেলোনাতেও মার্কেট বা পাবলিক বিল্ডিংগুলোতে বোরকা নিষিদ্ধ।