বছরের শেষদিকে কাতারে বসতে চলা বিশ্বকাপের টিকেট এখনও অধরা ইতালির। বাছাইপর্বে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাধারী আজ্জুরিদের গ্রুপ থেকে সরাসরি বিশ্বমঞ্চে গেছে সুইজারল্যান্ড। তাতে প্লে-অফের কঠিন বাধার মুখে পড়তে হয়েছে রবের্তো মানচিনির দলকে।
প্লে-অফে ইতালিকে প্রথমে নর্থ মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে খেলতে হবে। জিততে তো হবেই, জিতে পড়তে হবে আরও শক্ত প্রতিপক্ষের সামনে। সামনে আসবে কঠিন পথের পরের ধাপটা। যেখানে প্রতিপক্ষ হবে পর্তুগাল ও তুরস্কের মধ্যকার জয়ী দলটি। সেই ম্যাচে জিতলে মানচিনির শিষ্যদের মিলবে কাতারের টিকেট।
ঐতিহ্যগত রক্ষণাত্মক কৌশল থেকে দলকে বের করে এনে আক্রমণাত্মক ও নান্দনিক ফুটবলের কৌশলে মানচিনির সফলতা প্রমাণিত, তারপরও সাফল্য পুরোপুরি আসছে না। বিশ্বমঞ্চে যাওয়ার জন্য তাই নিতে হচ্ছে নতুন কিছু সিদ্ধান্ত। ব্যাডবয় খ্যাত মারিও বালোতেল্লিকে আড়াই বছর পর ফেরাতে চলেছেন তিনি।
রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলতে না পারার যন্ত্রণা চারবারের বিশ্বজয়ীদের এখনো পুড়িয়ে চলেছে। কাতার বিশ্বকাপেও তাদের যাওয়া নিয়ে সংশয় যখন যথেষ্ট, সেটি দাপটের সঙ্গে উতরে যেতে চাইছেন ইউরো বিজয়ীদের কোচ। মানচিনি চাইছেন, প্লে-অফ বাধা টপকে দলকে কাতারের ফ্লাইট ধরাতে ভূমিকা রাখুন বালোতেল্লি।
বালোতেল্লিকে ছাড়াই ইউরো জিতেছে ইতালি। এবার তাকে বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় রাখতে হচ্ছে। চিরো ইম্মোবিলে, আন্দ্রেয়া বেলোত্তি, গিয়ানলুকা স্কামাক্কা ও গিয়াকোমো রাসপাডোরের মতো ফরোয়ার্ড থাকলেও বালোতেল্লির প্রয়োজনীয়তা দেখছেন মানচিনি।
ইম্মোবিলের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও ইউরোতে ছিলেন না সেরাছন্দে। করিম বেনজেমা ও রবার্ট লেভান্ডোভস্কির মতো বিশ্বমানের স্ট্রাইকারও তিনি নন। লাজিওর হয়ে সর্বশেষ ৫৪ ম্যাচে ১৫ গোলের বেশি করতে পারেননি।
অন্যদিকে, তুরস্কের ঘরোয়া ফুটবলে নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছেন বালোতেল্লি। ১৮ ম্যাচে ৭ গোল করেছেন। যা অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত ফুটবলারের জন্য জাতীয় দলের বন্ধ দরজা খুলে দিচ্ছে। মাসের শেষদিকে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পড়তে চলেছে বালোতেল্লির।