ইডেনে দ্বিতীয় ম্যাচেও আফসোস থেকে গেলো। ১৯৯০ সালে প্রথম খেলার সময় বাংলাদেশ ক্রিকেটে কোনো শক্তি না হওয়ায় সেই পরাজয় স্বাভাবিক হলেও ২৫ বছর পর এ হারে আফসোস অনেক।
বিশেষ করে প্রথম ওভারে যদি ওই ক্যাচটি হতো!
ম্যাচের প্রথম ওভারেই তামিম মিড-অনে সার্কেলের বেশি ভেতরে থাকার কারণে ফ্লাইট বুঝতে পারেননি। ওইসময় সারজিল শূন্য রানে ফেরত যেতে পারতেন। এতেই ম্যাচ বদলে যেতো এমন নয়। তবে শুরুর ধাক্কা কাটাতে পাকিস্তানিদের সময়তো একটু লাগতোই।
অথবা, সরাসরি থ্রোতে একটা রানআউটের সম্ভাবনা মিসের আফসোসও আছে। সেসঙ্গে মুশফিক কিছুটা দেরি করায় মোহাম্মদ হাফিজের স্টাম্পিং মিসের আফসোস।
আফ্রিদিকে রাউন্ড দ্য উইকেট বোলিং-এর আফসোসও পোড়াবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের। তবে, সবার উপরে পুরো ম্যাচ জুড়ে শর্ট, হাফ ভলি, অন দ্য প্যাডস/লেগ বোলিং।
এরকম বোলিংয়ে ম্যাচজুড়ে ছিলো চার-ছক্কার বন্যা। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের কষ্ট করে কোনো শট খেলতে হয়নি। খুব খারাপ বোলিং, পরে একারণে আত্মবিশ্বাসের অভাব, এবং পরে আবার আত্মবিশ্বাসের অভাবের কারণে আরো খারাপ বোলিং এর চক্রে ২০১ রান করে ফেললো পাকিস্তান।