কিছুতেই যেন থামছে না ইউরোপ মুখী শরণার্থীর ঢল। ইউরোপের অধিকাংশ দেশ তাদের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়াতে পথে পথে ঘুরছে হাজারো মানুষ। শরণার্থী ইস্যুতে ইউরোপের নেতারা কোন ঐক্যমতে আসতে না পারলেও বাকযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন তারা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটে ইউরোপের ঐক্য হুমকির মুখে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ।
হাঙ্গেরীর পরে ক্রোয়েশিয়াও তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিলে শরণার্থীরা ঢোকার বিকল্প পথ খোঁজার জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। এরইমধ্যে শুধু শনিবারেই অস্ট্রিয়াতে ৯ হাজারের মতো শরণার্থী প্রবেশ করেছে। রোববার পর্যন্ত সেই সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছে অস্ট্রিয়ার পুলিশ।
অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিবেশী ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতি মানতে ব্যর্থ হয়েছে। ক্রোয়েশিয়া ও স্লোভেনিয়া থেকে শরণার্থীদের বের করে দেওয়াতে তিনি উদ্বেগ জানান।
সার্বিয়া সীমান্ত দিয়ে ক্রোয়েশিয়ায় পৌঁছানো ২০ হাজার শরণার্থীকে তারা তাদের দেশে আশ্রয় দিবে না। তাদেরকে হাঙ্গেরী সীমান্তে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জোরান মিলানোভিচ। তিনি বলেন, হাঙ্গেরীর সঙ্গে আমাদের কোন চুক্তি হয়নি। আমার শরণার্থীদেরকে নিতে হাঙ্গেরীর উপর চাপ প্রয়োগ করবো এবং তাদেরকে সেখানে পাঠিয়ে দেব।
ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন হাঙ্গেরীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী। হাঙ্গেরীর প্রধানমন্ত্রী বিক্টর অরবান বলেন, খ্রিস্টান অধ্যুষিত ইউরোপে মুসলিম শরণার্থী হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। হাঙ্গেরীর সার্বভৌমত্বের উপর ক্রোয়েশিয়া আঘাত হেনেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় কোনো সমঝোতা না হওয়ায় আগামী বুধবার আবারো জরুরি বৈঠক ডেকেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আর জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলছে, এই সমস্যার সমাধান না করতে পারলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঐক্যই হুমকির মুখে পড়বে।