নেইমারকে পিএসজি থেকে স্পেনে ফেরাতে পারেনি বার্সেলোনা। নইলে অর্থের হিসাবটা আরও বড় হত। কিন্তু যা হয়েছে তাতেই আক্কেলগুড়ুম হওয়ার দশা। অতীতের রেকর্ড ভেঙে নতুন দলবদলের রেকর্ড গড়েছে ২০১৯ গ্রীষ্মকালীন দলবদল।
দলবদলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ খরচ হয়েছিল ২০১৭ সালে। সে বছর ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বার্সা থেকে পিএসজিতে পাড়ি জমান নেইমার। সেই দলবদলের চেয়েও ১৯ শতাংশ বেশি খরচ করেছে ক্লাবগুলো। ২০১৮ সালের চেয়ে অর্থের পরিমাণটা ২৯ শতাংশ বেশি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগে খেলা মোট ৮০টি দল মিলে খেলোয়াড় কেনা-বেচার জন্য যা খরচ করেছে তা পুরো বিশ্বের দলবদলের মোট ৫৮ শতাংশ। কেবল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা ৩২ দল তাদের দলবদলের পেছনে ব্যয় করেছে মোট ৩.৯৮ বিলিয়ন ইউরো। বাংলাদেশি মূল্যে পরিমাণটা ৩৬ হাজার ৯শ ৮৩.৯৯ কোটি টাকারও বেশি! খেলোয়াড় কিনতে গিয়ে ৪৩ শতাংশ ক্লাব ভেঙেছে নিজেদের অতীত খরচের রেকর্ড।
এ তো কেবল ৩২ দলের হিসাব গেল। খেলোয়াড় কেনা-বেচার পেছনে মূল ভূমিকা যাদের সেই এজেন্টদের কমিশন এখানে ধরাই হয়নি। সাধারণত খেলোয়াড়ের মূল্য বুঝে কমিশন নেন এজেন্টরা। সেটা ১০ শতাংশ থেকে ২০ কিংবা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। যদি ১০’ই ধরা হয় সেক্ষেত্রে এই ৩২ ক্লাব ও তাদের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ইউরো নিজেদের পকেটেই ভরেছেন এইসব এজেন্টরা।
এরপর আসা যাক লভ্যাংশ-আয় ভাগাভাগিতে। খেলা বাবদ উয়েফার কাছ থেকে মোট ৩.৭২ বিলিয়ন ইউরো আয় হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগে খেলা ৮০টি দলের। আর লভ্যাংশ হিসেবে আরও বাড়তি ১৯৩ মিলিয়ন ইউরো এই ক্লাবগুলোর মাঝামাঝি ভাগ করে দিয়েছে উয়েফা।
এবারের দলবদলে কদর বেশি ছিল ২১ থেকে ২৪ বছর বয়সী ফুটবলারদের। ৪৭ শতাংশ খেলোয়াড়ের বয়স ছিল ২৮ বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি।
ফিফার রেকর্ড বলছে, দলবদলে সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে ইংল্যান্ড, স্পেন, জার্মানি, ইতালি ও ফ্রান্সের শীর্ষ দলগুলো। ১.১৭ বিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে ইংলিশ ক্লাবগুলো। ১ বিলিয়ন ইউরো খরচ করে দুই নম্বরে স্প্যানিশরা।