বিভিন্ন এলাকায় সরকারী দলের লোকেরা বিরোধী পক্ষের লোকদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা সৃষ্টি করছেন বলে একরকম বাধ্য হয়েই একাধিক জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দেবার বিকল্প সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এমনকি বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা না নেয়ার জন্য বাধ্য করতে অনেক এলাকায় সরকারী দলের সমর্থকরা রিটার্নিং অফিসারদের লাঞ্ছিত করায় অনেকটা দিশেহারা ইসি। অার এ নির্বাচনে সরকারী দলের ভোটকেন্দ্র দখলসহ অনিয়ম বন্ধে পুলিশকে গুলি চালাবার নির্দেশ দাবি করে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়পত্র জমা দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির ক্রমাগত অভিযোগ ছিল শুরুর দিন থেকেই। এমনকি বিভিন্ন জায়গাতে রিটার্নিং অফিসারদের জোর করে অফিস ঘেরাও করে অন্য কোন দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা না নেবার ঘটনা ঘটেছে বেশ কিছু জায়গায়।
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার চেয়ারম্যানসহ বেশ কিছু জায়গায় সরকারী দলের প্রার্থীসহ প্রভাবশালীরা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছেন বলেও সত্যতা পেয়েছে ইসি। বাধাদানকারী প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যে কোন ধরনের অরাজকতা নিয়ন্ত্রণ করতে এখন থেকে প্রার্থীরা নিজ নিজ উপজেলার বাইরেও নিজ জেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন।
দুপুরে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৬৪ জেলায় ৬৪ টি জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছে ইসি। নির্বাচন কমিশন আশা করছে আইন অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এই বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পৌরসভা নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় ইউপি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির পাশাপাশি নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টি। তাদের আশংকার কথা জানাতে বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখাও করেছেন দলটির প্রতিনিধিরা।
নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রয়োজনে পুলিশ যেন গুলি চালায় সেই দাবী তারা জানিয়েছেন সিইসির কাছে।
সব অভিযোগ শুনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকীবউদ্দিন আহমেদ তাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের সব আশা দিয়েছেন।