করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় অনেকটা দায়সারাভাবেই আলাদা আইসোলেশন ইউনিট তৈরি করেছিল ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন দায়সারা আইসোলেশন ইউনিট তৈরির বিষয়টি তুলে ধরেন।
এত গুরুত্বপূর্ণ রোগীদের এভাবে রাখা যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন: যেহেতু তারা করোনা রোগী রাখার জন্য আলাদা আইসোলেশন করতে সরকারিভাবে নির্দেশনা পেয়েছেন। তাই করার জন্য করেছেন। এটা খুব রিস্কি ছিল। যে পাঁচজন মারা গেছেন তারা সানসেটের ঠিক নিচে ছিল। আর বাইরে একটা এক্সটেনশন আছে টিনশেডের।
তিনি জানান: অস্থায়ীভাবে তৈরি ওই ইউনিটের পার্টিশনগুলো পার্টেক্সজাতীয়, যা অতিদাহ্য। আগুন যখন লেগেছে তাৎক্ষণিকভাবে একসঙ্গে পুরোটায় লেগে গেছে। এ কারণে একজন রোগীও বের হতে পারেনি। তাছাড়া, করোনা রোগীর আশপাশে সাধারণত কেউ থাকেন না। ওখানে ওই ৫ জন রোগীই চিকিৎসাধীন ছিলেন। যখনই আগুন লেগছে তখন তারা আর বের হতে পারেনি।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন: হয়তো ইলেক্ট্রিক কোনো কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।
বুধবার রাতে রাজধানীর গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য তৈরিকৃত আলাদা তাবুতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই আগুন পুরো তাবুতে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখানে চিকিৎসাধীন ৫ জন রোগী মারা যান।
মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ ও একজন নারী। চিকিৎসকরা জানান মারা যাওয়া ৫ জন রোগীর মধ্যে ৩ জনের করোনা পজিটিভ ছিল।