দিনাজপুরে ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানোর প্রবণতা বেড়েছে। অতিমাত্রায় পানি এবং অক্সিজেন গ্রহণকারী এই গাছ কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে। এ নিয়ে সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন পরিবেশবিদরা।
২০০৮ সালে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণে নিরুৎসাহিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু সচেতনতার অভাবে নার্সারি মালিকরা ব্যাপক পরিসরে এর চারা উৎপাদন করছে। এ কারণে যত্রতত্র ইউক্যালিপটাসের বাগানও গড়ে উঠছে।
ইউক্যালিপটাসের পাতায় একধরণের অ্যান্টিসেপটিক থাকায় এর নিচে ছোট গাছ বাড়তে পারে না, মারা যায় পোকা-মাকড়। বাংলাদেশে যেখানে একসঙ্গে সব ধরণের ছোট-বড় গাছ, ফসল এবং জলাশয় রয়েছে সেই পরিবেশে ইউক্যালিপটাস গাছ মোটেই উপযোগী নয়।
যে হারে এই বিদেশি উদ্ভিদের সংখ্যা বাড়ছে তাতে পরিবেশের ভারসাম্য নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা।
এই বৃক্ষের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানাতে বেশি বেশি কর্মসূচি হাতে নেয়ার কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফসল ও জীব-বৈচিত্র্য বিনষ্টের পাশাপশি এ ইউক্যালিপটাস গাছ পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই গাছ রোপণ না করার জন্য জনসচেতনতার তাগিদ দিচ্ছেন পরিবেশবিদরা।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: