ইউএস-বাংলার বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ব্ল্যাকবক্স কানাডায় পাঠানো হয়েছে। কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন এয়ারপোর্টের জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, ব্ল্যাকবক্সের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন পেতে সময় লাগবে দুই মাস। ওই প্রতিবেদন থেকে দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে।
ঝুঁকির তালিকায় থাকা পাহাড় ঘেরা এই বিমান বন্দরে রোজ উঠানামা করে চারশ উড়োজাহাজ। এ পর্যন্ত যে তিনটি দুর্ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে ভয়াবহতম ইউএস-বাংলার দুর্ঘটনা। ত্রিশ বছরের এভিয়েশন অভিজ্ঞতায় রাজকুমার ছেত্রী তিনটি বিষয়কে সম্ভাব্য কারণ বলে মনে করেন: ১. পাইলটের অতি আত্মবিশ্বাস, ২. পাইলটের সংশয় এবং ৩. উড়োজাহাজের ভেতরে কোনো সমস্যা।
কাঠমান্ডুর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের দায় অস্বীকার করে তিনি বলেছেন, উত্তরে যাবার নির্দেশনার পরও পাইলট কেন দক্ষিণে গেলেন সেটা একটা প্রশ্ন। তার দাবি: পাইলট দক্ষিণে মোড় ঘোরানোর সঙ্গে সঙ্গে রানওয়েতে দমকল বাহিনী প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেয় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল।
ত্রিভুবন এয়ারপোর্টের রানওয়ে লাগোয়া খেলার মাঠটিতে এখন কাঠ কয়লা হয়ে পড়ে আছে ইউএস বাংলার ফ্লাইট বিএস-টু ওয়ান ওয়ান। ধ্বংসস্তুপের উপর দিয়েই মিনিটে মিনিটে উড়ে যাচ্ছে উড়োজাহাজ। এখনকার চিত্র দেখে অনুমান করা কঠিন যে ১২ই মার্চ কী ঘটে গেছে সেখানে।
ধীরে ধীরে শোক কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ও নেপাল। তবে, এয়ারলাইন্স ইন্ডাস্ট্রির ভেতরে বাইরে প্রশ্ন: দুর্ঘটনার কারণ কী? কাঠমান্ডু এয়ারপোর্টের জেনারেল ম্যানেজার বলছেন, কার ভুলে দুর্ঘটনা জানার জন্য ব্ল্যাকবক্সটি ড্যাশ প্লেন প্রস্তুতকারি কোম্পানি বোম্বারডিয়ারের কাছে পাঠানো হয়েছে। দুঘর্টনার পর রানওয়েতে দমকলের গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।