চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ইংল্যান্ডের বাঁচা-মরার ম্যাচে চোখ পাকিস্তানেরও

সেমিফাইনালের চতুর্থ দল হওয়ার জন্য ত্রিমুখী লড়াই ছিল। ভারতের কাছে বাংলাদেশের হারে সেটি দ্বিমুখী লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান, দুদলের একটি সেমির টিকিট পাবে। বুধবারও সেমির লাইনআপ চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে। নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলেই সব শঙ্কা কাটিয়ে শেষ চারে যাবে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।

সেমি নিশ্চিত করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। নিউজিল্যান্ড রানরেটে এগিয়ে সেরা চারে এক পা দিয়ে রেখেছে। ইংল্যান্ড জিতে গেলে সব উত্তেজনা শেষ। সেক্ষেত্রে বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে পাকিস্তানের। ইংল্যান্ডের সেমির পথে একমাত্র বাধা নিউজিল্যান্ড। কিউইদের হারাতে পারলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই সেমিতে মরগানের দল।

তাতে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাতে পারলেও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে নেট রানরেটের পার্থক্য ঘুচিয়ে পাকিস্তানের শেষ চারে যাওয়া প্রায় অসম্ভব! আর ইংল্যান্ড কিউইদের সঙ্গে হেরে গেলে তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশের দিকে। তখন পাকিস্তানকে মাশরাফীরা হারাতে পারলে স্বাগতিকরা সেমিতে, আর পাকিস্তান জিতলে সরফরাজরা সেরা চারে।

বিশ্বকাপে দারুণ খেলতে থাকা ইংল্যান্ড কদিন আগে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে টানা হেরে বিপদের মুখে পড়েছে। গত ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে অবশ্য কিছুটা চাপমুক্ত ইংলিশরা।

অন্যদিকে দুর্দান্ত শুরুর পর ছন্দপতন হয় নিউজিল্যান্ডের। গত দুটি ম্যাচে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় কিউইরা। তাতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নকআউটের আগে ছন্দে ফিরতে মরিয়া কেন উইলিয়ামসনের দল।

অতীত ইতিহাস অবশ্য ইংল্যান্ডকে চোখ রাঙানিই দিচ্ছে। ১৯৮৩ সালের পর বিশ্বকাপে আর একবারও নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারেনি ইংলিশরা। বিশ্বকাপে সর্বশেষ পাঁচবারের সাক্ষাতেই জিতেছে কিউইরা। ১৯৭৫, ১৯৭৯ এবং ১৯৮৩ সালে নিউজিল্যান্ডকে টানা তিনবার বিশ্বকাপের ম্যাচে হারায় ইংল্যান্ড।

তবে ‘৮৩’ বিশ্বকাপেই দ্বিতীয়বারের সাক্ষাতে জয় পায় নিউজিল্যান্ড। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি কিউইদের। ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০৭ ও ২০১৫ সালের আসরে ইংল্যান্ডকে হারায় তারা। অতীত ইতিহাস উজ্জীবিত করবে নিউজিল্যান্ডকে।

সবমিলিয়ে মুখোমুখি পরিসংখ্যানেও এগিয়ে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। ৮৩ বারের সাক্ষাতে কিউইদের ৪১ জয়ের বিপরীতে ইংল্যান্ড জিতেছে ৩৬ ম্যাচে। দুটি ম্যাচ টাই হয় এবং চারটি পরিত্যক্ত।

কিউইদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে প্রচ্ছন্ন চাপ থাকবে ইংল্যান্ডের উপর। গত কয়েকটি ম্যাচে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি মঈন আলি। তাকে বেঞ্চে রেখে পেস অ্যাটাক আরও শক্তিশালী করে নামতে পারে তারা। জফরা আর্চার, মার্ক উড, ক্রিস ওকস ও লিয়াম প্লাঙ্কেট- চার পেসারকে নিয়ে নামতে পারে স্বাগতিকরা।

মার্টিন গাপটিলের ওপেনিং সঙ্গী হিসেবে গত ম্যাচে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি হেনরি নিকোলস। তবে কলিন মুনরো অফফর্মে থাকায় নিকোলস আরেকটি সুযোগ পাবেন বলেই মনে হচ্ছে। ইশ সোধি দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে একাদশে জায়গা পেতে পারেন। তাকে বেঞ্চে রেখে টিম সাউদি কিংবা ম্যাট হেনরিকে একাদশে নেয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

সম্ভাব্য একাদশ
ইংল্যান্ড: জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, ইয়ন মরগান, বেন স্টোকস, জস বাটলার, লিয়াম প্লাঙ্কেট, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ, জফরা আর্চার ও মার্ক উড।

নিউজিল্যান্ড: মার্টিন গাপটিল, হেনরি নিকোলস, কেন উইলিয়ামসন, রস টেলর, জেমস নিশাম, টম লাথাম, মিচেল স্যান্টেনার, ইশ সোধি/টিম সাউদি, লোকি ফার্গুসন ও ট্রেন্ট বোল্ট।