ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালের মতো মন ভাঙল না টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে। ইংল্যান্ডকে এবার হারাতে পারল নিউজিল্যান্ড। মরগানদের ৫ উইকেটে হারিয়ে সবার আগে শিরোপার মঞ্চে পা রেখেছেন উইলিয়ামসনরা।
বুধবার টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডে বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের দেয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্য ৬ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলে ওয়ানডে বিশ্বকাপের বর্তমান রানার্সআপরা।
বৃহস্পতিবার আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। জয়ী দলটি হবে ১৪ নভেম্বরের ফাইনালে কিউইদের শিরোপার প্রতিপক্ষ।
আবুধাবিতে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান জমায় ইংল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ১৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৭তে পৌঁছায় নিউজিল্যান্ড।
বেয়ারস্টোকে (১৭ বলে ১৩) দ্রুত হারালেও বাটলার ও মালান পথে রাখেন ইংল্যান্ডকে। ২৪ বলে ২৯ করে যান বেয়ারস্টো। মালানের ভাণ্ডার থেকে আসে ৩০ বলে ৪১ রান, ৪ চারের সঙ্গে এক ছয়ে সাজানো।
একটি করে চার-ছয়ে ঝড় তোলার আভাস দিয়েছিলেন লিভিংস্টোন, থামতে হয় ১০ বলে ১৭ করে। মঈন আলি সেটি পুষিয়ে দেন অপরাজিত ফিফটি করে।
অধিনায়ক মরগান যখন ২ বলে ৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ছেন, মঈন তখন ৩৭ বলে অপরাজিত ৫১ রানে। যাতে ৩ চারের সঙ্গে ২ ছক্কার মার। যে ইনিংসে ভর করে শেষ ১০ ওভারে ৯৯ রান জমাতে পারে ইংলিশরা।
সাউদি এদিন দারুণ করেছেন, ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৪ রান, নিয়েছেন ১টি উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মিলনে, সোধি, নিশামও।
লক্ষ্য তাড়ায় এসে শুরুতে হাত খুলতে পারেনি কিউইরা। গাপটিল আবার একটি চার মেরেই ৩ বলে ৪ রানে সাজঘরে হাঁটা দেন। অধিনায়ক উইলিয়ামসনের ইনিংস থামে ১১ বলে ৫ রানে।
আরেক ওপেনার মিচেল ও কনওয়ে তখন মনোযোগ দেন ইনিংস মেরামতে। ১৩ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দুজনে যোগ করে যান ৮২ রান। কিন্তু রানের গতি বাড়াতে পারছিলেন না। ৫ চার এক ছয়ে ৩৮ বলে ৪৬ করে কনওয়ে ফিরে গেলে জুটি ভাঙে।
ফিলিপস দ্রুতই ২ রানে কনওয়েকে অনুসরণ করলে বিপদের আভাসই মিলছিল! প্রয়োজনীয় রানরেট তখন ১৩তে পৌঁছে গেছে। ঝড় তুলে সেখান থেকে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে যান নিশাম।
এক চারের পিঠে ৩ ছক্কায় ১১ বলে ২৭ করে ম্যাচ নিজেদের দিকে হেলে দিয়ে যান নিশাম। বাকি কাজটা শেষ করে আসেন ড্যারেল মিচেল। অপরাজিত ৭২ রানে জয়ে নোঙর ফেলেন কিউইদের। ম্যাচসেরা মিচেলের ইনিংসটি সাজানো ৪টি করে চার-ছক্কায়।
২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে এই ইংল্যান্ডের কাছেই শিরোপা হাতছাড়া করেছিল নিউজিল্যান্ড। ম্যাচ টাই হওয়ার পর দুবার সুপার ওভারে গড়িয়ে সেই টাই-ই মিলেছিল। পরে বাউন্ডারি সংখ্যার হিসাবে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল মরগানের দল।