অমর একুশে গ্রন্থ মেলা-২০১৬’র উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২১ আমাদের প্রেরণা- বাঙালি জাতি পুরো বছর অপেক্ষায় থাকে; কবে ১লা ফেব্রুয়ারি আসবে।’
বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার ৬০ বছরপূর্তিতে ৬ দফা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলা একাডেমির বিশেষ ভূমিকা স্মরণ করেন তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলার চোখে দেখতে সাহস পায় না।’
‘বাংলাদেশ এখন এগিয়েছে। বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে দাঁড়াবে।’
আওয়ামী লীগের হাত ধরেই বাংলা ভাষার মর্যাদা এসেছে উল্লেখ করে শেহ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগই ২১ ফেব্রুয়ারিকে সাধারণ ছুটি থেকে শুরু করে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শহীদ মিনার গড়ে তুলেছে।’
এসময় তিনি বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যদা অর্জনে দুই প্রবাসী বাঙালির ভূমিকা স্মরণ করে বলেন, ‘ভালোবাসি মাতৃভাষা’ নামক সংগঠন থেকেই সালম ও রফিক সর্বপ্রথম জাতিসংঘের কাছে তুলে ধরে। এটা জানতে পেরেই আমি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের কাছে দাবি তুলে ধরে। এরপরই ইউনেসকো বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি দেয়।’
দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বাংলা একাডেমির বিশেষ প্রকাশনা ব্রেই’র প্রকাশের জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতাও জানান প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বিদেশী ভাষার গ্রন্থ অনুবাদের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন।
বইমেলা উদ্বোধনের পর সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় ১০টি ক্ষেত্রে ১১ জন ব্যক্তিকে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০০০ প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।
কবিতায় সামগ্রী অবদান রাখায় পুস্কার পেয়েছেন আলতাফ হোসেন। কথা সাহিত্যে শাহিন আক্তার, স্মৃতি কথায় ফারুক চৌধুরী, গ্রন্থে মনিরুজ্জামান, অনুবাদে আবদুর সেলিম, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সাহিত্যে তাজুল আহমেদ, নাটকে মাসুম রেজা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাহিত্যে শরিফ খান, শিশু সাহিত্যে সুজন বড়ুয়া এবং প্রবন্ধে আবুল মোমেন ও আতিউর রহমান।