মুক্তির পর পরই দেশ ও দেশের বাইরে বাজিমাৎ করেছিলো অমিতাভ রেজার পরিচালনায় প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আয়নাবাজি’। ছবিটি দেখতে দর্শকের আগ্রহ ছিলো দেখার মতো। ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া সেই ‘আয়নাবাজি’র সুবাতাস বইছে এখনো।
হ্যাঁ। ৪১ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৭টি বিভাগে পুরস্কার নিয়ে সুবাতাস অব্যাহ রাখলো ‘আয়নাবাজি’ টিম। শ্রেষ্ঠ পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য, শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক,শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা ও শ্রেষ্ঠ সম্পাদক বিভাগগুলোকে পুরস্কার অর্জন করে আয়নাবাজি ছবিটি।
পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ি রবিবার সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬ প্রদান হয়। সেখানে ২০১৬ সালের বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার অর্জনকারীদের হাতে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
‘আয়নাবাজি’র এমন প্রাপ্তিতে পুরো টিমকে অভিনন্দন জানান শোবিজ অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরা। আয়নাবাজির এমন প্রাপ্তিতে উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। তিনি পুরো টিমকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে ‘আয়নাবাজি’ একটি বিস্ময়ের নাম। ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া এই চলচ্চিত্রটির পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেত্রী নতুন। অথচ তারা সবাই মিলে চলচ্চিত্রটিকে বছরের সবচাইতে ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রের মর্যাদায় দাঁড় তো করিয়েছিলই, সেই সঙ্গে এবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেও সর্বোচ্চ ৭টি পুরস্কার পাবার গৌরব অর্জন করেছে ‘আয়নাবাজি’ টিম।
আয়নাবাজি টিমের প্রত্যেক্যের সাথে কাজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রী জয়া আরো বলেন, আমার সৌভাগ্য, আমি পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরীকে আমার ‘দেবী’ পরিবারের একজন হিসেবে সবসময় সবভাবে পেয়েছি। ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রের অন্যতম চিত্রনাট্যকার অনম বিশ্বাসকে আমার প্রথম চলচ্চিত্র প্রযোজনা ‘দেবী’র পরিচালক হিসেবে পাওয়াটাও আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি। একজন নতুন পরিচালক হয়েও ‘দেবী’র মত উপন্যাসের চলচ্চিত্র রূপায়নে অনমের অপরিসীম দক্ষতায় বিস্মিত ও পুলকিত হয়েছি। ‘আয়নাবাজি’র ‘আয়না’ অর্থাৎ চঞ্চল চৌধুরীকে ‘দেবী’ তে ‘মিসির আলী’ রূপে পেয়েছি। বলা দরকার, নতুন করে মুগ্ধ হয়েছি। তাছাড়া শব্দগ্রাহক রিপন নাথের ক্যারিশমা ‘আয়নাবাজি’র পর আমাদের ‘দেবী’তে পেয়েছি।