শুধু মিল মালিকরাই নয় চালের দাম বৃদ্ধির কারসাজির সাথে আড়তদার-ব্যবসায়ীরাও জড়িত বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
এ সময় তিনি বলেন, আজ সোমবার থেকে বেসরকারি উদ্যোগে চাল আমদানির অনুমতি দেয়া শুরু করবে সরকার। এতে খুব দ্রুত চালের দাম কমা শুরু করবে।
বেসরকারিভাবে চাল আমদানি করতে আগ্রহীরা ২৫ আগস্টের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন জানিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আশা করি আমদানির চাল কিছুটা এসে ঢুকলেও তখন এর প্রভাব পড়বে, দাম কমবে। যারা ধান বা চাল মজুত করে রেখেছে তারা সেগুলো বাজারে ছেড়ে দেবে।
দেশে পর্যাপ্ত চালের মজুদ রয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু মিল মালিকরাই নয় চালের দাম বৃদ্ধির কারসাজির সাথে আড়তদার-ব্যবসায়ীরাও জড়িত।
নিজের কোন চালের ব্যবসা বা চালকল (মিল) নেই উল্লেখ করে তিনি একটা বিষয় আপনাদের জনিয়ে দেই- অনেকেই লেখেন যে, খাদ্যমন্ত্রীর চালের ব্যবসা আছে। যার জন্য চালের দাম কমে না। আমরা কোন চালের ব্যবসা নেই, আমরা কোন মিলও নেই। এটা কিন্তু আপনাদের জানা দরকার। এটা কিন্তু বারবার আমাদের প্রশ্ন করেন, আমরা বিব্রত হই।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীদের মধ্যে লাভ করার প্রবণতা অনেক বেশি। এই করোনা মহামারির মধ্যেও মানবতার অবস্থা ছেড়ে দিয়ে কীভাবে বেশি লাভ করবে, কী কায়দা করলে বেশি লাভ করা যায়, এটা নিয়েও আমরা বেশি ব্যস্ত থাকি। এটা শুধু চালে নয়, সুযোগ পেলেই যেন বেশি লাভ করতে চায়, আল্লাহ তাদের ওপর মানবতার রহমত বর্ষণ করুক।
করোনা মহামারীর মধ্যেই গত কিছুদিন ধরে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও কমেনি দাম। তাই দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সম্প্রতি শুল্ক কমিয়ে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।