থেমে থেমে বৃষ্টি চলছে কয়েকদিন। বৈশাখে বর্ষার রূপ দেখে জনেজনে নানা প্রতিক্রিয়া। প্রেমিক মন যাই ভাবুক না কেন, নাটক সিনেমার নির্মাতারা কিন্তু বৃষ্টিতে যারপরনাই হতাশ। শিডিউল করা আউটডোর শুটিং বন্ধ রেখে চলছে ইনহাউস শুটিং। আবার বৃষ্টিতে কেউ কেউ শুটিং ফেলে আড্ডাতে মজে গেছেন। তবে এই বৃষ্টি শুটিং ইউনিটের জন্য দুর্ভোগই বয়ে আনে। গত কয়েকদিনের থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ক্ষতির শিকার হয়েছেন অনেক নির্মাতা।
উত্তরায় ৭ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে শুটিং চলছে প্রচার চলতি ধারাবাহিক ‘মহাগুরু’র। সেটে আছেন মোশাররফ করিম, অহনা, দিলারা জামান ও জয়রাজ। এর পরিচালক কায়সার আহমেদ। চ্যানেল আই অনলাইনকে মুঠোফোনে তিনি জানালেন, ‘আজ সারাদিন ছিল আউটডোরের শুটিং। কিন্তু থেমে থেমে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির কারণে বাইরে যাওয়ার সাহস করিনি। শুটিং বাড়িতেই কয়েকটি দৃশ্যের শুটিং করছি যে দৃশ্যগুলো আজ ধারণের কথা ছিল না।’
তিনি জানান: এই দিনটির জন্য একদিন বেশি শুটিং করতে হবে। এর জন্য লাগবে বাড়তি টাকা। কী করব আর! মেনে নিচ্ছি আর্থিক ক্ষতি।
বৃষ্টির দিনে সবচেয়ে অসহায় অবস্থায় পড়ে গেছেন কক্সবাজারে শুটিং করতে যাওয়া নির্মাতা সৈয়দ শাকিল। তিনি ‘নীল দুপুর’, ‘আবর্ত’ ও ‘হলুদ বসন্ত’ নামের তিনটি নাটকের শুটিং করতে সেখানে গিয়েছিন। তিনটিতেই অভিনয় করছেন অপূর্ব, মম ও মৌরী সেলিম।
কক্সবাজারে যাওয়ার পর প্রথম তিনদিন শুটিং ভালো চললেও গত কয়েকদিন ধরে তা চলছে থেমে থেমে। আউটডোর শুটিং সেভাবে করা যায়নি। এর মধ্যে অল্প কয়েকটি দৃশ্যধারণ করতে পেরেছেন তিনি। বাকি সময়টা শুটিং ইউনিটসহ হোটেলে শুয়ে বসে আর আড্ডাতে সময় কাটাতে হয়েছে।
মুঠোফোনে এই নির্মাতা বলেন: প্রতিটা সময় যাচ্ছে আর খরচ বাড়ছে। বৃষ্টির কারণে আউটডোর শুটিং করতে পারছি না। সব মিলিয়ে ৮ ঘণ্টা শুটিং করেছি গত দুদিনে।
‘কষ্টে আছি খুব।’
সম্প্রতি শুটিং শেষ হয়েছে শাফায়েত মনসুর রানা পরিচালিত ‘অ্যাডিকশন’ নামের একটি একঘণ্টার নাটকের। সেখানেও ছিল এই বৃষ্টির অনাহুত বাধা।
নির্মাতা জানান: শুটিং সিডিউল ছিল তিনদিন, সেখানে কাজ করতে হয়েছে পাঁচদিন। ফলে আর্টিষ্টদের অনুরোধ করে সময় ম্যানেজ করতে পারলেও আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে পারিনি।
নায়ক শাকিব খানের শুটিং বাড়ি জান্নাত দেখতে গিয়েছিলেন ব্যস্ত নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। পূবাইলে এই বাড়ি দেখতে যাওয়ার পথে মুষলধারে বৃষ্টির মুখে পড়েন তিনি। প্রাইভেটকারে থাকলেও রাস্তায় পানি উঠে যাওয়া গাড়ি গর্তে পড়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছিলেন তিনি।
তিনি জানান, ‘একে তো বৃষ্টি, তার মধ্যে গাড়ি পড়ে গিয়েছিল রাস্তার গর্তের মধ্যে। কি যে বাজে অবস্থা, ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। এভাবে নিয়মিত বৃষ্টি হলেতো বাসায় বসে থাকতে হবে। আর শুটিং করতে হবে না।’
ছবি: সংগৃহীত