নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দরকার হলে বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার নেওয়ার জন্য নেপাল সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।
নেপাল আর্মি প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পর একথা জানান বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল। এছাড়াও মরদেহ ময়নাতদন্তের পর দেশে এনে সনাক্ত করতে চায় বাংলাদেশ।
বিমানমন্ত্রী বলেছেন, এক্ষেত্রে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মরদেহগুলো সনাক্ত করা। কিন্তু সেজন্য স্বজনদের মরদেহ দেখতে দেয়াটা প্রয়োজন। সেখানে নিহত সবার স্বজন নেপালে আসতে পারেননি। এজন্য যত দ্রুত সম্ভব সবগুলো মরদেহ বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেয়ার ইচ্ছার কথা নেপালের আর্মি প্রধান জেনারেল ছেত্রিকে জানানো হয়েছে।
সোমবার ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বোমবার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ৪০০ উড়োজাহাজটি ঢাকা থেকে ছেড়ে গিয়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নেপালে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫১। এর মধ্যে ২৮ জন বাংলাদেশি, ২২ জন নেপালী এবং ১ জন চীনা নাগরিক। চিকিৎসাধীন যাত্রীদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উড়োজাহাজটিতে থাকা ৬৭ যাত্রীর মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশি, ৩৩ জন নেপালি, একজন মালদ্বীপের এবং একজন চীনের নাগরিক। উড়োজাহাজটিতে ৬৭ যাত্রীর পাশাপাশি ৪ জন ক্রু ছিলেন বলে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
দুর্ঘটনায় প্রথমেই মৃত্যু হয় ওই ফ্লাইটের সহকারি পাইলট এবং ইউএস বাংলার প্রথম নারী পাইলট প্রিথুলা রশিদের। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদকে। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ক্যাপ্টেন আবিদও মারা যান।