নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইউএস বাংলার বিধ্বস্ত ফ্লাইটের পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বারিধারায় ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের করপোরেট অফিসে দুর্ঘটনার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন প্রতিষ্ঠানটির গণসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আমরা গতকাল জানিয়েছিলাম, ক্যাপ্টেন আবিদ ক্রিটিক্যাল অবস্থায় বেঁচে আছেন। কিছুক্ষণ আগে আমরা খবর পেলাম, উনি আর বেঁচে নেই।’
আবিদ সুলতান ১৯৮২ সালে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে এসএসসি এবং ১৯৮৪ সালে একই কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে জিডিপি শাখায় কমিশন লাভ করেন।
তিনি স্কোয়াড্রন লিডার হিসেবে অবসর নিয়ে পরবর্তীতে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে এ পাইলট হিসেবে যোগ দেন।
কামরুল ইসলাম জানান, হতাহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা এবং লাশ বহনের খরচ ইউএস বাংলা বহন করবে। তবে লাশের তথ্য ও পরিচয় নির্ধারণ করার জন্য আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বোমবার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ৪০০ উড়োজাহাজটি ঢাকা থেকে ছেড়ে গিয়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নেপালে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময়েই দুর্ঘটনার শিকার হয়।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫০। চিকিৎসাধীন যাত্রীদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উড়োজাহাজটিতে থাকা ৬৭ যাত্রীর মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশি, ৩৩ জন নেপালি, একজন মালদ্বীপের এবং একজন চীনের নাগরিক। উড়োজাহাজটিতে ৬৭ যাত্রীর পাশাপাশি ৪ জন ক্রু ছিলেন বলে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
দুর্ঘটনায় প্রথমেই মৃত্যু হয় ওই ফ্লাইটের সহকারি পাইলট এবং ইউএস বাংলার প্রথম নারী পাইলট প্রিথুলা রশিদের। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদকে।