আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে দুই কিশোরী গণধর্ষণ এবং ৩৫ দিন পর সেই গণধর্ষণের ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি চাপা দিতে ধর্ষকের পরিবার ওই নির্যাতিত কিশোরীদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেছে। তবে অভিযোগ না পেলেও ইতিমধ্যে পুলিশ অভিযানে চালিয়ে ৪ ধর্ষককে আটক করেছে। এই ঘটনায় পুলিশ ভোক্তভোগী এক কিশোরীকে তাদের হেফাজতে নিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে।
মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়ার ভাদাইল ও আশপাশের এলাকা থেকে অভিযুক্ত ৩ যুবককে আটক করে পুলিশ। পরে আজ বুধবার সকালে খুলনা থেকে কিশোর গ্যাং এর মূল হোতা সারুফকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- আলামিন, জাকির, রাকিব ও সারুফ। তারা ভাদাইল এলাকাতেই বসবাস করেন। এদের কিশোর গ্যাং এর অন্য সদস্যরা পলাতক রয়েছে।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম জানান, সম্প্রতি স্থানীয়দের মোবাইল ফোনে ভাদাইল এলাকায় দুই কিশোরীকে গণধর্ষণের একটি ভিডিও ছড়িয়ে দেয় কে বা কারা। পরে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি পুলিশের নজরে আসলে পুলিশ স্ব-উদ্যোগে তদন্তের নামে এবং গণধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ভাদাইল ও আশপাশের এলাকা থেকে ৩ যুবকে আটক করে। পরে খুলনা থেকে আটক করা হয় আরো এক যুবককে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ৩০ আগস্ট ওই দুই কিশোরী দুই আত্মীয়ের সাথে ভাদাইল পবনারটেক এলাকায় ঘুরতে গেলে আটক ৪ যুবকসহ আরো কয়েক যুবক জোরপূর্বক দুই কিশোরীকে গণধর্ষণ ও মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে। এছাড়া কিশোররীদের দুই আত্মীয়কে বেদম মারধর করে আগেই তাড়িয়ে দেয়া হয়। ঘটনার পরপরই এক কিশোরী গ্রামের বাড়িও চলে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন সচেতন নাগরিকরা।