ঢাকার আশুলিয়ার কাঠগড়া বাজারের কমার্স ব্যাংকে ডাকাতির সময় আট জনকে হত্যা মামলার রায়ে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে আরও দু’জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। বিচার শুরু করার মাত্র চার মাসেই বহুল আলোচিত এ মামলাটির রায় হলো আজ।
গত ২৫ মে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এসএম কুদ্দুস জামান মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। ১১ আসামীর মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই আটক রয়েছে। আসামীদের উপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করা হয়।
মামলার চার্জশিটের ৯৭ জন সাক্ষীর মধ্যে গত ১৭ মে পর্যন্ত তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৬৪ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি একই আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ডাকাতির অভিযোগে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানা পুলিশ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বলা হয়, আবদুল্লাহ আল বাকী ছিল হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। তিনি একসময় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সঙ্গে যুক্ত ছিল।
মতপার্থক্যের কারণে আবদুল্লাহ জেএমবি থেকে বের হয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। এরপর তিনি ও তার সহযোগীরা অর্থ সংগ্রহে নামে। এরই ধারাবাহিকতায় তার নেতৃত্বে আশুলিয়ায় কমার্স ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
গত বছরের ২১ এপ্রিল দুপুরে কমার্স ব্যাংকের কাঠগড়া শাখায় ডাকাতরা হানা দেয়। তারা গুলি, বোমা ও অস্ত্রের আঘাতে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপকসহ তিনজনকে হত্যা করে টাকা নিয়ে পালিয়ে যেতে থাকে। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় জনতা ডাকাতদের ধাওয়া করলে ডাকাতরা গুলি ও বোমা ছুড়লে আরও পাঁচজন সাধারণ মানুষ মারা যায়।
পরে জনতা আরও তিনজনকে ধরে ফেলে। বাকিরা পালিয়ে যায়। আটক তিনজনের মধ্যে আসিফ হোসেন নামের এক ডাকাত গণপিটুনিতে মারা যায়। বাকি দু’জনকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।