রাজধানীর উত্তরা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। তারা পবিত্র আশুরায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
সোমবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে উত্তরার ৭নম্বর সেক্টরের বাস স্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, মাে. রাসেল হােসেন (২১), জুয়েল মাহমুদ ওরফে ইমাম মাহমুদ (২৬) ও আবু জাফর সােহেল (৩৬)।
এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই -পুস্তিকা, ছয়টি মােবাইলসেট, বিভিন্ন কোম্পানীর সিম কার্ড বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
এন্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. মাহিদুজ্জামান চ্যানেল আই অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পবিত্র আশুরা উপলক্ষে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনমনে ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য হত্যা পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতির অগ্রগতি আলােচনার জন্য তারা উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে ওই স্থানে একত্রিত হয়েছিল বলে স্বীকার করেছে।
এছাড়াও তারা রাষ্ট্রবিরােধী ষড়যন্ত্র করে রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশে খেলাফত প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে তারা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
মাহিদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার রাসেল হােসেনের বাড়ি পাবনার সাথিয়া। সে রাজশাহী ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনােলজির ছাত্র। জুয়েল মাহমুদ ওরফে ইমাম মাহমুদের ঠিকানা বাগাতিপাড়া, নাটোর। অপর সদস্য আবু জাফর সোহেল রাজধানীর সিপাহীবাগ, খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা ইমাম মাহমুদের অনুসারী ও ‘ইমাম মাহমুদ ও গাজোয়াতুল হিন্দ’ নামক একটি গ্রুপের সক্রিয় সদস্য এবং এই সক্রিয় ক্লোজড গ্রুপের সদস্যরা এবিটি’র সক্রিয় সদস্যও। এ গ্রুপের মাধ্যমে তারা গাজওয়াতুল হিন্দ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন যাবত তহবিল সংগ্রহ করছিল।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।