বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারলেও আশাহত হচ্ছেন না মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। পরের ম্যাচগুলোতে দল ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদী তিনি। ছোট পুঁজি নিয়ে কঠিন লড়াইয়ের জন্য দলীয় সাহসের প্রশংসাও করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের পর দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। কিন্তু ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করলেও ব্যাটিং এবং ফিল্ডিংয়ের কমিতে সেই আত্মবিশ্বাসের খেসারত দিয়ে ২ উইকেটে হারতে হয়।
তবে হারলেও কিউইদের বিপক্ষে যেভাবে পুরো দল লড়াই করেছে, তাতে পরের ম্যাচেই তারা ঘুরে দাঁড়াবে বলে বিশ্বাস ম্যাশের, ‘আমাদের এখনো ৭ ম্যাচ বাকি রয়েছে। আমাদের একটি একটি করে ম্যাচ ধরে ভাবতে হবে। আশা করি আমরা পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
প্রথম ব্যাট করে ২৪৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এখানেই আক্ষেপ মাশরাফীর। আর মাত্র ২০ থেকে ৩০টি রান হলেই ম্যাচের গল্প অন্যরকম হতে পারত। ব্যাটসম্যানরা উইকেটে সেট হয়েও বড় রান করতে না পারাকেই দায়ী করেন অধিনায়ক। দলের পাঁচজন ব্যাটসম্যান ২০ রানের আশেপাশে আউট হয়েছেন, হারের জন্য একাকে কারণ হিসেবে দেখছেন তিনি।
মাশরাফী বলেন, ‘আজকের উইকেটটা ভালো ছিল। তবে আমরা ২০-৩০ রান কম করেছিলাম। এমন উইকেটে ২৫০ বা তার কম রান ডিফেন্স করা খুবই কঠিন। আউটফিল্ডটা স্লো ছিল। আমি মনে করি আমরা অনেকবেশি উইকেট হারিয়েছি, বিশেষ করে ব্যাটসম্যানরা সেট হয়ে সাজঘরে ফিরে যাচ্ছিল। আর ২০-৩০ রান হলেই ম্যাচের গল্প অন্যরকম হতে পারত।’
বড় পুঁজি ছাড়াও যেভাবে সবাই লড়াই করেছেন, তাতে পুরো দলের সাহসের প্রশংসা করেন মাশরাফী। তবে এমন ম্যাচ জিততে হলে মাঠে পাওয়া প্রতিটি সুযোগই কাজে লাগাতে হয় বলে জানান, ‘আমরা খুবই কাছাকাছি গিয়েছিলাম। অল্প কিছু রান কম ছিল, তারপরও খুব কাছে গিয়েছিলাম। আপনি যদি বড় স্কোর না গড়তে পারেন, তাহলে মাঠে পাওয়া প্রত্যেকটা সুযোগই কাজে লাগাতে হবে।’
কঠিন চাপের মুখে ৯১ বলে ৮২ রান করেন রস টেলর। ম্যাচসেরা টেলরকেও তার প্রাপ্য কৃতিত্ব দিলেন টাইগার অধিনায়ক। মাশরাফী বলেন, ‘হ্যাঁ, কৃতিত্ব অবশ্যই টেলরের। সে সেট ব্যাটসম্যান ছিল। শেষের দিকে আমরাও জানতাম উইকেট নিতে হবে। তবে কৃতিত্ব অবশ্যই তাদের, চাপের মুখে ম্যাচ বের করে নিয়েছে।’
আগামী ৮ জুন নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।