চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আলোচিত ১০ অ্যাকশন চলচ্চিত্র

অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্র বরাবরই সিনেমা প্রেমীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে। চ্যানেল আই অনলাইনের এবারের ঈদ আয়োজেনে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ অ্যাকশন চলচ্চিত্র নিয়ে বিশেষ আয়োজন। জেনে নিন হলিউড ও বলিউডের কিছু অ্যাকশন ছবি খবর।

ডাই-হার্ড: ১৯৮৮ সালে ১৫ জুলাই মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের মতে সর্বকালের সেরা অ্যাকশন ছবি। অ্যাকশন চলচ্চিত্রের তালিকায় ডাই-হার্ডকে রাখতে হবে সবচেয়ে ওপরের দিকেই। এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন কিংবদন্তী অভিনেতা ব্রুস উইলিস।

দ্য কনডেমনড: এ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিলো ২০০৭ সালে। কারাগারে মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায় প্রহর গুণছিলেন এক দুর্ধর্ষ কয়েদি- জ্যাক কনরাড। দুর্নীতিগ্রস্থ এক মার্কিন জেলারের কাছ থেকে তাকে কিনে নেন এক ধনী টেলিভিশন প্রযোজক। এভাবে আর নয় দুর্ধর্ষ কয়েদিকে ছেড়ে দেওয়া হয় বিশ্বের এক প্রান্তের জনমানবহীন এক গহীন দ্বীপে। পুরো দ্বীপে ছোট ছোট সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে রাখা হয়। এরপরই শুরু হয় প্রাণঘাতী লড়াই যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

ডেথ রেস: হলিউডের অন্যতম অ্যাকশন এই চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০০৮ সালে। এই সিনেমাটিতে পানিবন্দী কারাগারে বন্দীদের মোটর রেসের কাহিনী নিয়ে চিত্রায়ন করা হয়েছিলো। সেটা শুধুই গাড়ি চালনা নয়, যে কোনো মূল্যে প্রতিদ্বন্দ্বীদের হত্যা করে সেখানে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হয় কাহিনী চিত্রে।

ফার্স্ট ব্লাড: ১৯৮২ সিনেমাটি মুক্তি পায়। ভিয়েতনাম থেকে ফেরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এক সৈনিকের জীবন সংগ্রাম নিয়ে তৈরি হয় এর কাহিনী চিত্র। সৈনিকটি পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়। এরপরই সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে সে একাই যুদ্ধ শুরু করে।

ক্রাউচিং টাইগার, হিডেন ড্রাগন: এই সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিলো ২০০০ সালে। দুর্দান্ত মার্শাল আর্ট যদি আপনার পছন্দের বিষয় হয়; তাহলে ক্রাউচিং টাইগার, হিডেন ড্রাগন না দেখে থাকেন তাহলে এখনই দেখে নিন এই মুভিটি। এটি সবচেয়ে দুর্দান্ত মার্শাল আর্ট মুভি। মার্কিন মুল্লুকে প্রথম বিদেশী ছবি হিসেবে এটি আয় করে ১০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

রিং অফ ডেথ: এই সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিলো ২০০৮ সালে। একের পর এক কয়েদির মৃত্যু ভাবিয়ে তোলে কারাকর্তৃপক্ষকে। রহস্য উন্মোচনের দায়িত্ব পড়ে এক পুলিশ অফিসারের কাঁধে। সাজানো মামলায় কয়েদি হয়ে একদিন তিনি ঢুকে পড়েন ওই কারাগারে। তারপরই ঘটতে থাকে লোমহর্ষক সব ঘটনা।

টার্মিনেটর টু: এই সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিলো ১৯৯১ সালে। টার্মিনেটর দেখেননি আর টুকটাক হলিউড পাড়ায় ডু মারেন এমন লোক মেলা ভার। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন আভাটার ও পরিচালনা করেছেন টাইটানিক খ্যাত জেমস ক্যামেরন। তবে সবাইকে ছাপিয়ে আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগারের অ্যাকশনের জন্য বিশ্ব জুড়ে খ্যাতি পায় চলচ্চিত্রটি।

রেম্বো: এই সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিলো ২০০৮। বর্মী জান্তার হাতে একদল সাহায্যকর্মী অপহৃত হয়। তাদের উদ্ধার করতে ছুটে যান জন রেম্বো। এরপরই ঘটনাক্রমে অ্যাকশন থ্রিলার মিলিয়ে ছবিটি স্থান করে নিয়েছে ইতিহাসের পায়। সেই সাথে চলচ্চিত্র প্রেমীদের হৃদয়ের মণিকোঠায়।

ইউনিভার্সাল সোলজার: এই সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিলো ২০১০ সালে। অতি গোপনীয় মার্কিন প্রযুক্তি চুরি করে পরীক্ষাগারে জিনেটিক পরিবর্তন ঘটিয়ে রুশ সন্ত্রাসবাদীরা তৈরি করে পরবর্তী প্রজন্মের সৈনিক। প্রকৃত অর্থে যারা নির্দেশ নির্ভর ‘কিলিং মেশিন’। জাঁ ক্লদ ভ্যান ড্যাম, ডল্ফ লান্ডগ্রেন, আন্দ্রেই আরলোভস্কি আছেন এই সিনেমাটির প্রধান প্রধান চরিত্রে।

রেগিং বুল: এই সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিলো ১৯৮০ সালে। এক বক্সারের জীবনকথা। সে স্বভাবে খুবই আবেগপ্রবণ। চলচ্চিত্রটিতে তার উত্থান থেকে শুরু করে পতনের কাহিনী চিত্রায়ন করা হয়েছে। রবার্ট ডি নিরোকে এই চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন।