ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন: জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে যদি দ্বিপাক্ষিক কোনো আলোচনা হয়, তাহলে সে আলোচনা হবে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে।
রোববার হরিয়ানায় এক জনসভায় রাজনাথ সিং এ কথা বলেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ভারতের অবস্থান তুলে ধরে বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা শুরুর আগে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করতে হবে ইসলামাবাদকে। পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার প্রথমেই নয়, এই নীতি বজায় রেখেছে ভারত।
কয়েক দশক ধরে এই নীতি বজায় রাখা হয়েছে বলে জানান রাজনাথ সিং।পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে দরবার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী, আন্তর্জাতিক মহলে দরবার করছে, তারা বলছে ভারত ভুল করেছে”। পাকিস্তানের সবসময়ের বন্ধু রাষ্ট্র চীনের তরফে আবেদনের পরেই জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারত আলোচনায় রাজি হয়।
রাজনাথ সিং বলেন, “মানুষ বলেন, ৩৭০ ধারা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ দেশকে ভাগ করবে। আমাদের বলা হয়েছিল, তারপরে আর ক্ষমতায় ফিরবে না বিজেপি। আমি আপনাদের বলতে চাই, ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় বিজেপি। জাতীয় অখণ্ডতার সঙ্গে যুক্ত রাজনীতির ওপরে আমরা জোর দিতে চাই।
যদিও জাতিসংঘের পাঁচটি স্থায়ী এবং ১০টি অস্থায়ী সদস্যের সেই বৈঠক কোনও প্রস্তাবনা ছাড়াই শেষ হয়, যা পাকিস্তানের কাছে ধাক্কা।
বেশীরভাগই দেশই সহমত পোষণ করে যে, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করা এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দিয়ে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের দ্বিপাক্ষিক বিষয়।
গত ১৬ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ডাকা এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয় জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল নিয়ে অবস্থান যা ছিল সেটাই থাকবে, এটি পুরোপুরিই অভ্যন্তরীণ বিষয়।
গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্র সরকার। রাজ্যটিকে ভেঙে দিয়ে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার ঘোষণা দেয়া হয় সেসময়।