ফ্রান্সে ২২ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এ ঘটনার আগে নিজের আর্থিক সঙ্কটের কথা উল্লেখ করে ছেলেটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছিলো।
ফ্রান্সের লিওনে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেস্টুরেন্টের সামনে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার এই সঙ্কটের জন্য ওই শিক্ষার্থী দায়ী করেছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যারকন এবং ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের ডানপন্থী রাজনীতিবিদ মেরিন ডে পেনকে ।
আগুন নিয়ন্ত্রণকারী কর্মীরা জানিয়েছে ছেলেটির শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। ওই যুবা লেখাপড়া করতো লিওন ২ ইউনিভারসিটিতে। ফেসবুকে সে লিখেছে, বেঁচে থাকার জন্য তার মাসে ৪৫০ পাউন্ড প্রয়োজন। এই অর্থের বোঝা বহন করা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
লিওন ইউনিভারসিটির ওই শিক্ষার্থী আরো লিখেছে, ফ্যাসিজম রুখে দিতে আমাদের এখন লড়াই করা উচিত। যে ফ্যাসিজম আমাদের মধ্যে কেবল বিভক্তিই তৈরি করছে। আমাদের জীবনে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি করে এবং আমাদের সকলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দেয়ার জন্য সর্বোপরি আমার আত্মহত্যার জন্য দায়ী থাকবেন ম্যারকোন, ফ্রাঙ্কোইজ ওলাদ, নিকোলাস সারকোজি এবং ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের নেতা লি পেন।